Sell the fish scales at rupees 40-50 per kg without discarding them: আমরা প্রতিনিয়ত যা ব্যবহার করি তা থেকে তৈরি হয় কিছু বর্জ্য পদার্থ। এবং সেগুলোকে শুধুমাত্র বর্জ্য পদার্থ ভেবেই আমরা ফেলে দিই ডাস্টবিনে অথবা নোংরার স্তুপে। কিন্তু সেই বর্জ্য পদার্থই যদি আয়ের উপায় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে? একদম অপ্রয়োজনে ফেলে দেওয়া একটা জিনিস থেকে যদি লক্ষী লাভ হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়? এমন ঘটনা যে সম্ভব তার নিদর্শন আমরা এর আগেও পেয়েছি। বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ রিসাইক্লিং পদ্ধতির এর মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটি উপকারী বর্জ্য পদার্থের কথা জানানো (Fish Scales) হলো।
কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। রোজ সকালবেলা বাজারে গিয়ে মাছের কানকো টিপে যাচাই করে দরাদরি করে, মাছ না কিনলে বাঙালির বাজারটা ঠিক জমে না। অনেকেই আছেন যারা বাজার থেকে মাছটা একেবারে কাটিয়ে নিয়ে বাড়ি আসেন। মাছটাকে কাটানোর সময় বলে দেওয়া হয় ভালো করে আঁশ ছাড়িয়ে দেবার কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন এই নোংরা ভেবে ফেলে দেওয়া আঁশ থেকে আপনি হতে পারেন কোটিপতি। অবাক লাগছে তাই তো? কিন্তু এটাই সত্যি, এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। বহু মানুষ মাছের আঁশ (Fish Scales) বিক্রি করে উপার্জন করার রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন।
বেশকিছু মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জানা গেছে, তারা মাছের আঁশের এই ব্যবসার সাথে যুক্ত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মাছ ব্যবসায়ীরা কিভাবে আঁশ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে? মাছের দোকানে ফেলে দেওয়া আঁশগুলি বস্তাবন্দি করে রেখে (Fish Scales) দেওয়া হয়, এই বস্তা বস্তা মাছের আঁশ প্রথমে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। তারপর সেগুলোকে ভালো করে শুকিয়ে আবার বস্তা বন্দী করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
আরও পড়ুন ? Salary Savings: রোজগার করলাম আর ফুটিয়ে দিলাম! এটা করলে চলবে না, সঞ্চয় দরকার, তাও আবার এই ছকে
জানা গেছে, এই শুকনো আঁশ থেকে তৈরি হয় একাধিক জিনিস। বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে ওষুধ, জমিতে ব্যবহারযোগ্য সার আরও অনেক কিছু। প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন পাওয়া যায় মাছের আঁশ থেকে। সেই জন্য এটি খাদ্য সামগ্রী, প্রসাধন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। এই কোলাজেনের ব্যবসা যে শুধু ভারতেই চলে তা কিন্তু একেবারেই নয়। ভারত থেকে রীতিমতো রপ্তানি সামগ্রী হিসেবে কোলাজেন পাঠানো হয় ইউরোপ, আমেরিকার মতন বহু দেশে।
শুধু মাছ ব্যবসায়ী নয়, বিভিন্ন এলাকায় যারা মাছ কাঁটার কাজ করে আঁশ ব্যবসার সাথে যুক্ত সকলেই। তারা মাছের আঁশ জমিয়ে (Fish Scales) ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীরা সেই আঁশ পরিষ্কার করে শুকিয়ে পাঠিয়ে দেয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। এইভাবেই চেইন সিস্টেমে রমরোমিয়ে চলছে মাছের আঁশের ব্যবসা। এই ব্যবসা থেকে আয়ও হচ্ছে প্রচুর। প্রতি কেজি বস্তার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে পাওয়া যায়। খুব সহজ পদ্ধতিতে একপ্রকার বিনা বিনিয়োগে ব্যবসা করতে চাইলে, মাছের আঁশের ব্যবসা কিন্তু বেশ লাভজনক।