নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে বাজার মূল্য যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার করলেও চারজন সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাহলে ভাবুন, একজন দিনমজুরের কি অবস্থা হতে পারে। কেননা দিনমজুরদের প্রতিদিন যে কাজ থাকে তা নয়। যে কারণে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সামান্য টাকা রোজগারে সংসার চালাতে হচ্ছিল আনন্দকে। যদিও শেষমেষ ওই আনন্দের ঘরে এলো সুখের দিন।
যে আনন্দের কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা আনন্দ সর্দার। তার পরিবারের রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী। পেশায় দিনমজুর আনন্দ সর্দারের সংসার চালানোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, তিনি যে টাকা রোজগার করেন তার বড় অংশ সংসারের পিছনে ঢালতে ঢালতে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর জন্য সেই ভাবে খরচ করা হয় না। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা নিয়ে তার দুচোখে রয়েছে অনেক স্বপ্ন।
ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল করার জন্য তিনি মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট (Dear Lottery) কাটেন। তবে সেই ভাবে কোনদিন ভাগ্য না ফিরলেও গত সোমবার ৬০ টাকার লটারির টিকিটে তার ভাগ্য ফিরলো, ঘরে এলো সুখের দিন। কেননা ঐ টিকিটেই তিনি জিতেছেন প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা। এক কোটি টাকা জেতা তার কাছে স্বপ্নের মত হলেও সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় এখন তিনি ঘর সংসার এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা নিয়ে তার দেখা স্বপ্ন বাস্তবের রূপ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন ? Tax on Lottery: লটারিতে ১ কোটি জিতলে কত টাকা পাওয়া যায়! কত কেটে নেয় সরকার
সদ্য লটারির টিকিটে দিনমজুর থেকে কোটিপতি হওয়া আনন্দ সর্দার হলেন বাঁকুড়ার খাতড়ার বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদড়ার বাসিন্দা। সোমবার তিনি কাজের জন্য আড়কামা মোড়ে গিয়েছিলেন প্রতিদিনের মতো। আর সেখানেই ৬০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এবং পরে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন ওই টিকিটেই কোটি টাকার পুরস্কার এসেছে।
লটারির টিকিটে কোটি টাকা জয়ের পর আনন্দ বাবুর যেমন আনন্দে বাঁধ ভেঙেছে, ঠিক সেই রকমই খুশি প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাতদিন এক করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আনন্দ বাবু নিজের সংসার চালানোর জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। এবার লটারির টিকিটে তার এইভাবে পুরস্কার ঠিক যেন ভগবানের তার দিকে তাকানোর মত।