Digha-Mandarmani: ছন্দে ফিরছে দীঘা-মন্দারমনি! ব্যান পিরিয়ড উঠতেই লাভের মুখ দেখা শুরু

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Digha-Mandarmani began to see the face of profit as soon as the ban period was lifted: বেশিরভাগ পর্যটকেরই ঘুরতে যাবার জন্য অন্যতম পছন্দের জায়গা দিঘা। বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকদের কাছে কম সময়ে সমুদ্র ভ্রমণের কথা উঠলেই পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে দীঘার নাম। সারা বছরই সমুদ্র উপকূলবর্তী এই এলাকায় পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে শুধু দীঘা নয়, আশপাশে রয়েছে আরও অনেকগুলি সমুদ্র উপকূলবর্তী পর্যটন কেন্দ্র। ওল্ড দিঘা ও নিউ দীঘা ছাড়াও রয়েছে মন্দারমনি, শংকরপুর, তাজপুর, জুনপুট, বাঁকিপুটের মতন পর্যটন কেন্দ্রগুলি (Digha-Mandarmani)। এইসব এলাকাতেও পর্যটনের ভিড় কিছু কম নেই। বর্তমানে এই এলাকাগুলিতে একপ্রকার সাজো সাজো রব। উঠে যাচ্ছে ব্যান পিরিয়ড। তারই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সকলে।

Advertisements

পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আয়ের অন্যতম উৎস মাছ ধরা। এখানকার স্থানীয়রা বেশির ভাগই সমুদ্রে মাছ ধরে জীবন অতিবাহিত করেন। এই মাছ ধরার উপরেই সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছিল ব্যান পিরিয়ড। এটা অবশ্য নতুন নয়, প্রতি বছরই বছরের নির্দিষ্ট সময় সমুদ্র উপকূলবর্তি এলাকাগুলোতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

Advertisements

প্রতিবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি অব্দি প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকে সমুদ্রে মাছ ধরার প্রক্রিয়া। ১৪ই জুন ২০২৪ এ এই বছরের মতন ব্যান পিরিয়ড উঠে যেতে চলেছে। এই মুহূর্তে নতুন করে কাজ শুরু করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মৎসজীবিরা। আর মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে নতুন করে। ১৪ই জুন ২০২৪ এ ব্যান পিরিয়ড উঠে গেলেই শয়ে শয়ে ট্রলার বঙ্গোপসাগরের নামানো হবে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে। আবারো পুরনো ছন্দে এগোবে নিত্যদিনের কাজ।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Hotels in Digha: দিঘা হোক বা পুরি, সহজে সস্তায় মিলবে গেস্ট হাউস, বড় পরিকল্পনা বর্ধমান পৌরসভার

এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি অব্দি সময়টা মাছেদের প্রজনন করার সময়। তাই ঐসময় মাছ ধরলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকার (Digha-Mandarmani) বাসিন্দাদের বড় অংশ মাছ ধরাকেই নিজেদের জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার অর্থ তাদেরও আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাই এই ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও যাতে মৎস্যজীবীদের কোনরকম সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য চালু করেছে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্প। ব্যান পিরিয়ড চলাকালীন প্রতিটি মৎস্যজীবীকে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা হিসেবে মোট ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার আগে নতুন করে কাজে নামার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সমুদ্রে নামার আগে ট্রলারে রং করা থেকে শুরু করে তেল ভরা, বরফ সঞ্চয় করা সবকিছু দ্রুত হাতে করছেন মৎস্যজীবীরা। চলছে মাছ ধরার জাল মেরামতির কাজও। প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাজ গুছিয়ে রাখছেন সকলে। বেশ কিছু ট্রলারে পুজো দেওয়ার কাজও হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে (Digha-Mandarmani) প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি ট্রলার রয়েছে। যেগুলি মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়।

Advertisements