LIC New Rules allow continuation of policy even if unable to deposit premium: ভারতবর্ষে যতগুলি বিমা কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই সংস্থাকে সরকারি সংস্থার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সরকারের বাৎসরিক খরচের মোটা অংশ আসে এলআইসির ফান্ড থেকেই। ভারতে প্রচলিত অন্যান্য বীমা সংস্থার চেয়ে অনেক বেশি সুরক্ষিত এলআইসির প্রকল্পগুলি। এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত ভাবে রিটার্ন পাওয়ার পাশাপাশি মোটা অ্যামাউন্টের সুদ পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি এলআইসির পলিসির নিয়মে (LIC New Rules) কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
বেশি লাভের আশায় অনেককেই মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করতে দেখা যায়। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট তেমনভাবে সুরক্ষিত নয়, আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থেকেই যায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের পরের স্থানে রয়েছে এলআইসি। ভারতের প্রায় প্রতিটা পরিবারে অন্তত একজন এলআইসির কোন না কোন পলিসিতে বিনিয়োগ করে চলেছেন। এলআইসির পলিসি চালিয়ে যাবার জন্য একটি নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকেন গ্রাহকরা। প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। যদি কোন ব্যক্তি প্রিমিয়াম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে ফাইন দিতে হয় তাকে। একাধিক প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, পলিসিটি বাতিলও হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে সম্প্রতি এলআইসির এই নিয়মটিতে বড় পরিবর্তন (LIC New Rules) আনল সংস্থা।
ধনী গরিব নির্বিশেষে প্রায় সকলে এলআইসিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। তাই সমস্ত শ্রেণীর মানুষের কথা মাথায় রেখে এলআইসিতে বিভিন্ন রকমের প্রকল্প চালু রয়েছে। রয়েছে প্রিমিয়াম পরিশোধের একাধিক উপায়। কোন প্রকল্পে একবারে জমা করতে হয় সম্পূর্ণ অর্থ, আবার কোন প্রকল্পে কিস্তিতে দেওয়া যায় প্রিমিয়ামের টাকা। কেউ বাৎসরিক, কেউ ত্রৈমাসিক, আবার কেউ ৬ মাসে একবার প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এলআইসির এমন অনেক গ্রাহক রয়েছে যারা নির্দিষ্ট সময় প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারেন না। বিশেষ করে যারা মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম দেন তারা সমস্যায় পরে সব থেকে বেশি।
এলআইসিতে পলিসি কেনার সময়ে প্রিমিয়াম দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করা থাকে। সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারে তাদের কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু যারা পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে এখন থেকে আর কোন সমস্যায় পড়তে হবে না কোন গ্রাহককেই। এলআইসির নতুন নিয়ম (LIC New Rules) অনুযায়ী, প্রিমিয়াম দেওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কোন গ্রাহককে। কোন গ্রাহক যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে এলআইসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ‘গ্রেস পিরিয়ডের’ সুযোগ পাবেন তিনি। অর্থাৎ প্রিমিয়াম পরিশোধ করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে, পুনরায় আরো কিছুদিনের সময় দেওয়া হবে এলআইসির পক্ষ থেকে। এই বর্ধিত সময়কেই গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে চিহ্নিত করছে সংস্থা।
এলআইসির নতুন নিয়ম (LIC New Rules) অনুযায়ী, যদি কোন গ্রাহক গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেও প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রেও পলিসি বন্ধ হয়ে যাবে না। তবে ফাইন দিতে হবে সেই গ্রাহককে। প্রত্যেকটি পলিসের জন্য গ্রেস পিরিয়ডের সময়সীমা নির্দিষ্ট রয়েছে। যদি কোন পলিসির জন্য নির্দিষ্ট গ্রেস পিরিয়ডের দিনও শেষ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পলিসিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে এতে ভয় পাওয়ার বা চিন্তিত হবার কোনো কারণ নেই। কারণ, গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি পলিসিটি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও তা সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় হবে। গ্রাহক যেকোনো সময় পর্যাপ্ত সুদ প্রদানের মাধ্যমে আবারো পলিসিটিকে সক্রিয় করে তুলতে পারবেন। গ্রেস পিরিয়ড বা ফাইন এর পরিমাণ কখনই নির্দিষ্ট নয় প্রত্যেকটি পলিসি ভেদে এর পরিমান ভিন্ন হতে পারে।