নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এই সকল প্রত্যেক প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা তুলে দেওয়ার কাজ করে থাকে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এমন বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে খুব জনপ্রিয় যে সকল প্রকল্প রয়েছে সেগুলি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি। তবে এই সকল প্রকল্পকে টেক্কা দিয়ে রাজ্য সরকারেরই একটি প্রকল্পে এবার আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে ২৫ হাজার টাকা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সিংহাসনে ২০১১ সালে তৃণমূল আসার পর সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কখনো নগদ টাকা, কখনো আবার নানান ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এখনো পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নিরিখে যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী আলাদা জায়গা করে নিয়েছে, ঠিক সেই রকমই আরো একটি প্রকল্প রূপশ্রী (Rupashree Prakalpa) আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
রূপশ্রী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা দিয়ে থাকে। নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে এই প্রকল্প পরিচালনা করা হয় এবং এই দপ্তরের তরফ থেকেই টাকা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে ২৫ হাজার টাকা প্রদান অনেক সাহায্য করে থাকে ওই সকল পরিবারগুলির। কিন্তু এরপরেও ওই প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
সরকার মূলত যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রকল্প চালু করেছে অর্থাৎ বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা দিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, সেই উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পূরণ হয় না। বিয়ের আগে এই প্রকল্পের টাকা পেতে আবেদন জানানো হলেও কিন্তু সেই টাকা পাওয়া যায় বিয়ের পর। ফলে উদ্দেশ্য মহৎ হলেও কিন্তু সেই মহৎ উদ্দেশ্যে খামতি থেকে যায়। কিন্তু এবার সরকারের তরফ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে আর টাকা পেতে দেরি হবে না।
বিয়ের আগে টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢুকে বিয়ের পরে টাকা ঢোকার কারণ হিসাবে যা জানা যাচ্ছে তা হলো, আবেদন পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা যাচাই না হওয়া। এবার নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসলো এবং পুরো নিয়মে বদল আনা হলো। শনিবার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, আবেদন পাওয়ার পর যাতে বিয়ের আগেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বিয়ের অন্ততপক্ষে চার দিন আগে যাতে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।