Rupashree Prakalpa Fraud: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প রূপশ্রী নিয়ে ছ্যাবলামি, পার পেয়ে যাবেন ভেবেছিলেন মহিলা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসনে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যের নাগরিকদের জন্য একের পর এক প্রকল্প চালু করেছেন। যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হল রূপশ্রী (Rupashree Prakalpa)। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন একটি সাধের প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে আসতে দেখা যায়, ঠিক সেই রকমই এবার এক মহিলা এমন ছ্যাবলামি (Rupashree Prakalpa Fraud) করলেন যা ভাবার নয়। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো পার পেয়ে যাবেন।

Advertisements

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অবিবাহিত মহিলাদের আর্থিকভাবে সাহায্যের জন্য রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। রূপশ্রী প্রকল্প এমন একটি প্রকল্প যে প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মহিলাদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা সাহায্য করা হয়, এমন সাহায্য করা হয় ওই পরিবারের মহিলার বিয়ের সময়। যাতে করে বিয়ের সময় আর্থিক বোঝা কিছুটা কমে।

Advertisements

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলাদের এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কোন বিবাহিত মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পান না। এবার এই জায়গাতেই এক বিবাহিত মহিলা রীতিমতো সরকারের সঙ্গে ছ্যাবলামি করলেন। যে মহিলার কথা বলা হচ্ছে তিনি কেবলমাত্র বিবাহিত নন, পাশাপাশি তার দুই দুটি সন্তানও রয়েছে। ওই মহিলা ভেবেছিলেন হয়তো তাকে কেউ ধরতে পারবে না, তবে একটি ছবিই তাকে ধরিয়ে দিল।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Pradhan Mantri Rojgar Yojana: কন্যাশ্রী, রূপশ্রী অতীত! বেকারদের পাশে কেন্দ্র, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে খেল দেখাচ্ছে এই প্রকল্প

বিবাহিত, দুই সন্তানের মা হওয়া সত্বেও রুপশ্রী প্রকল্পের আবেদন করার এমন ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা এক নম্বর ব্লকে। ওই ব্লকের খড়কুমসা গ্রামের দুটি আবেদন পত্র নিয়ে সন্দেহ বাড়ে আধিকারিকদের। একজন আবেদনকারী পাত্রের সঙ্গে ছবি ঘিরে সন্দেহ হয়। অন্যদিকে আরেকজন আবেদনকারীর ছবিতে দেখা যায় গলায় রয়েছে মঙ্গলসূত্র। আধিকারিকদের এমন সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজখবর শুরু করতেই বেরিয়ে আসে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে।

আবেদনকারী দুজনের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেলেও দুজনই বিবাহিত হয়ে আবেদন করেছেন প্রকল্পের টাকা নেওয়ার জন্য। সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক থেকে পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই দুইজন আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় একজন আবেদনকারী বিবাহিত হওয়ার পাশাপাশি আবার তার দুই সন্তান রয়েছে। অন্যজন আবেদনকারী বিবাহিত তার পরিবারের লোকজন স্বীকার করে নেন।

Advertisements