নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নড়েচড়ে বসার পর তাদের হাতে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পাশাপাশি আবার তার সঙ্গে জুড়ে বসেন তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukhopadhyay)। তারা দুজনেই এখন জেলবন্দি। তবে এসবের মধ্যেই এবার অর্পিতার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করলো আয়কর দপ্তর।
নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তদন্তে নামার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক সামনে আসে। তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। রাজ্যের বাসিন্দারা তাদের দুজনকে নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। শুধু তাই নয় এই তদন্ত চলাকালীন পার্থ ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরো অনেক অসংগতিপূর্ণ নথিপত্র ও জিনিসপত্র।
এই তদন্ত চলাকালীন এবার আয়কর দপ্তর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করলো বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই তালিকায় অন্ততপক্ষে ১৬ টি সম্পত্তি রয়েছে। এই ১৬ টি সম্পত্তির মধ্যে তিনটি সম্পত্তি আগেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। যে সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে কলকাতা এবং কলকাতা লাগোয়া তিনটি ফ্ল্যাট ও দুটি জমি রয়েছে।
আরও পড়ুন ? পার্থ-অর্পিতার অপা অতীত! এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোটি কোটি টাকার বাড়ির হদিশ শান্তিনিকেতনে
সম্প্রতি আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেন আয়কর কর্তারা। জেরার মুখে এই সকল সম্পত্তি তার বলেই তিনি দাবি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। তবে ওই সকল সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। অন্যদিকে এমন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিভাবে এলো অর্থাৎ এগুলির উৎস কি তা সম্পর্কে কিছু জানান নি।
আয়কর বিভাগের তরফ থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই সকল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর আবার মামলা রুজু করা হবে। বেনামী সম্পত্তির ধারায় আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে মামলা চালানো হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যে সকল সম্পত্তি এখন বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই সকল সম্পত্তির বিষয়ে আগে কিছু জানা যায়নি। এই সকল সম্পত্তির বিষয়ে মাস দুয়েক আগেই আয়কর দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু হয়। নতুন করে যে সকল সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে এবং যেগুলি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়েছে সেগুলির মূল্য কয়েক কোটি টাকা হলেই জানা গিয়েছে, যদিও ঠিক কত টাকার সম্পত্তি তা এখনো স্পষ্ট নয়।