নিজস্ব প্রতিবেদন : যোগগুরু রামদেব বাবার পতঞ্জলিকে ইদানিংকালে একের পর এক ধাক্কা খেতে হচ্ছে। কখনো বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের কারণে আদালতে ধাক্কা খেয়ে মুখ লুকাতে হচ্ছে, আবার কখনো অন্য কোন কারণে। ঠিক সেই রকমই এবার রামদেব বাবার পতঞ্জলিকে (Patanjali) ৪ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। এমনকি এই টাকা দু’সপ্তাহের মধ্যে না দিলে জেল হাজতে যেতে হবে।
এবার পতঞ্জলি এমন বিপুল অংকের টাকা জরিমানার নিচে পড়েছে মূলত কর্পূর বিক্রি করার জন্য। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কর্পূর বিক্রি করার পরিপ্রেক্ষিতেই পতঞ্জলিকে এমন বিপুল অংকের টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্পূর বিক্রি করার জন্য আদালতের কাছে ভৎসনার শিকার হয়েছে সংস্থা।
মূলত পতঞ্জলির বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক লংঘন করে কর্পূর বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। পতঞ্জলির বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক ভেঙ্গে কর্পূর বিক্রি করার এমন অভিযোগ এনেছিল মঙ্গলম অর্গানিক্স লিমিটেড। এই অভিযোগ বোম্বে আদালতে পৌঁছানোর পর আদালতের তরফ থেকে ২০২৩ সালে অন্তর্বর্তী রায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে করে আর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ট্রেডমার্কের কর্পূর বিক্রি না করা হয়। কিন্তু রামদেব বাবার সংস্থা তা শোনে নি।
বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ফের কর্পূর বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। এরপর ফের আদালতে যায় মামলাকারী সংস্থা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারপতি আর আই ছাগলা পতঞ্জলিকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি তিনি ভৎসনা করে জানিয়েছেন, পতঞ্জলির উদ্দেশ্য শুভ নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কর্পূর বিক্রি করেছে।
পতঞ্জলিকে জরিমানার ৪ কোটি টাকা দু’সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি নির্দেশ অমান্য করা হয় তাহলে সংস্থার ডিরেক্টরকে জেল যেতে হতে পারে। তবে এমন জরিমানা এই প্রথম নয়, জুলাই মাসের গোড়াতেই সংস্থা ৫০ লক্ষ টাকার একটি জরিমানার শিকার হয়েছিল। যদিও এবার পতঞ্জলি এই রায়ের পাল্টা হিসাবে উচ্চ আদালতে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।