Strange Facts: সাপের নাম শুনলেই গায়ে কাঁটা দেয়, বিষাক্ত সাপের কামড়ে কত মানুষের প্রাণ গেছে, তার কোনো হিসাব নেই। বাঘ, সিংহ, এমনকি হাতির মতো শক্তিশালী প্রাণীরাও সাপের বিষের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে। কিন্তু ভাবুন তো, সেই ভয়ংকর সাপকেই যদি উটকে খাওয়ানো হয়, তাও আবার জীবন্ত! এই অদ্ভূত ব্যাপারটি শুনে (Strange Fact) অবাক লাগছে? কিন্তু এটাই সত্যি।
উট সবচেয়ে বিখ্যাত গৃহপালিত স্তন্যপায়ী প্রাণী। ঊট গৃহপালিতদের মধ্যে এমন একটি প্রাণী, যা বেশিরভাগ শুষ্ক এবং ঠান্ডা মরুভূমিতে থাকে। উটের পরিবার প্রথম উত্তর আমেরিকায় প্রায় ৪৪ মিলিয়ন বছর আগে ইওসিন যুগে বিবর্তিত হয়েছিল। উট প্রথম ৩-৪ মিলিয়ন বছর আগে উত্তর আমেরিকার শেষ দিকে প্লিওসিনে জীবাশ্ম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। উট তাদের কুঁজের জন্য পরিচিত বড় ভূমি স্তন্যপায়ী প্রাণী। তিন ধরনের উট রয়েছে: ড্রোমডারি উট, ব্যাক্ট্রিয়ান উট এবং বন্য ব্যাক্ট্রিয়ান উট। তবে অদ্ভুত ব্যাপারটি (Strange Fact) হল এত খাবার থাকতে কেন উটেরা বিষাক্ত সাপ ভক্ষণ করে।
উটের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় রয়েছে গাছপালা, ফলমূল, সবজি। কিন্তু এক রহস্যময় রোগে আক্রান্ত হলে উটকে জোর করে সাপ খাওয়ানো হয়। এই রোগের নাম ‘হিয়াম’—এক ভীষণ ভয়ংকর রোগ, যেখানে উট কোনো খাবার, এমনকি জলও খেতে পারে না। তার দেহ শক্ত হয়ে যায়, আর ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। আর এই রোগ সারানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এক অবিশ্বাস্য পদ্ধতি—জীবন্ত সাপ খাওয়ানো। রোগ সারানোর জন্য এরকম অদ্ভুত ব্যাপারটি (Strange Fact) আগে কখনো শুনেছেন?
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে প্রাচীন একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে, যেখানে বলা হয়, ‘হিয়াম’ রোগে আক্রান্ত উটকে যদি জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয়, তাহলে উট সুস্থ হয়ে ওঠে। সাপের মুখ খুলে উটের গলায় সেই সাপটিকে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সাপের বিষ উটের শরীরে প্রবেশ করে তাকে সেই ভয়ংকর রোগ থেকে মুক্তি দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
এটি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রমাণিত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, তবে স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস এবং প্রথার (Strange Facts) কারণে এটি এখনও প্রচলিত। এই অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ পদ্ধতি শুনে আধুনিক সমাজের মানুষজন চমকে উঠবে, কিন্তু বাস্তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে, যা প্রমাণ করে যে মানুষের বিশ্বাস কতটা অদ্ভুত এবং রহস্যময় হতে পারে। এমন অভূতপূর্ব (Strange Facts) ঘটনা আমাদের চোখের সামনে আসে, যা আমাদের অবাক করে দেয় এবং চিন্তার খোরাক জোগায়। প্রাচীন কালের প্রথা এবং বিশ্বাস আজও কতটা প্রভাবিত করতে পারে আমাদের জীবনকে, তারই একটি দৃষ্টান্ত এই ঘটনা।