কলকাতা: রাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteers)। যে পদে বিপুল সংখ্যক রাজ্যের যুবক-যুবতীরা কর্মরত। এই সকল যুবক-যুবতীদের এবার চাপে পড়তে হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কেননা লালবাজারে তরফ থেকে তাদের ‘চারিত্রিক দোষ’ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার কাজ শুরু করা হলো।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পিছনে রয়েছে আরজি কর কাণ্ড। আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেপ্তার হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আর সেই ভাবমূর্তি ফেরাতে এবার লালবাজার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে। এমনিতেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একাংশের বিরুদ্ধে রাজ্যের বাসিন্দাদের অভিযোগের কমতি নেই।
আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন উঠছে তা হলো সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চরিত্র নিয়ে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশের সমস্ত ইউনিটের অধীনে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি করা হয়েছে। যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে সেই সকল তথ্যের ক্ষেত্রে কোনো রকম অসঙ্গতি মিললে ঠিক কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি। যদিও বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কোন অসঙ্গতি মিললে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে।
লালবাজারের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশের সমস্ত ইউনিটের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সম্পর্কিত যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই চাপে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। কেননা যে দুটি তথ্য যাওয়া হয়েছে সেই দুটি তথ্য যেকোনো সময় যেকোনো সিভিক ভলেন্টিয়ারের কর্মজীবন নিয়ে টানাটানিতে ফেলতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এমন তথ্য চাওয়ার পর এখন বহু সিভিক ভলেন্টিয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, বিশেষ করে তারা যাদের দোষ রয়েছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে চারিত্রিক কোন দোষের অভিযোগ রয়েছে কিনা তা প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসাবে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন সিভিক ভলেন্টিয়ারের অতীতে কোন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে কিনা। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই সকল ব্যাকগ্রাউন্ডের খোঁজ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক থানাকে এনওসি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম, ঠিকানা যাচাই থেকে শুরু করে কাজের পারফরম্যান্স, নেশা করে কিনা, কাজ করতে গিয়ে কোথাও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা ইত্যাদি তথ্যও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।