ফিল্মি কায়দায় বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, উত্তেজনা অনুব্রত গড়ে

হিমাদ্রি মণ্ডল : ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই শিরোনামে আসতে শুরু করেছে অনুব্রত গড় বীরভূম। লাগাতার বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। মূলত বিজেপি এবং তৃণমূলের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সরগরম হচ্ছে।

ঠিক তেমনই মঙ্গলবার একেবারে ফিল্মি কায়দায় বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত পুরন্দরপুরের বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বিজেপি কর্মীরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার (অপহরণ) অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা মঙ্গলবার রাতেই এসপি অফিসের সামনে ধর্ণায়। রাত বাড়লে ধর্ণা মঞ্চ তুলে নেওয়া হলেও বুধবার ফের তারা ধর্ণায় বসেছেন বলে জানা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে। কারণ বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনো ওই বিজেপি কর্মীর কোন রকম খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কিন্তু কীভাবে ঘটলো এমন ঘটনা? ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি কর্মীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ পুরন্দরপুরে থাকা পেট্রোল পাম্পে নিজের গাড়িতে তেল ভরাচ্ছিলেন ঘনশ্যাম মাহারা। তারপর পেট্রোল পাম্পের বের হতেই তাকে একেবারে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে এই ঘটনার সময় ঘনশ্যাম মহারার সাথে থাকা আরও এক বিজেপি কর্মীর শিবনাথ মাহারাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি কর্মীর সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

[aaroporuntag]
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির তরফ থেকে অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তাফার দাবি তুলেছেন। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে তৃণমূল।