নিজস্ব প্রতিবেদন : যিনি কোটিপতি তিনিও আরও বেশি টাকার স্বপ্ন দেখেন। আবার যার কাছে কিছু নেই তিনিও কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আসলে টাকার স্বপ্ন প্রত্যেকেরই রয়েছে। আর এই স্বপ্ন এখন বহু সাধারণ মানুষদের পূরণ হচ্ছে মূলত লটারির দৌলতে। ডিয়ার লটারিতে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কাউকে না কাউকে কোটিপতি (Dear Lottery Prize) হতে দেখা যাচ্ছে। তবে যে সকল মানুষেরা একেবারে দুঃস্থ দরিদ্র পরিস্থিতি থেকে কোটিপতি হচ্ছেন তারা সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন।
ডিয়ার লটারির দৌলতে কখনো একজন রাজমিস্ত্রি কোটিপতি হচ্ছেন, কখনো আবার একজন সবজি বিক্রেতা। কখনো আবার চা বিক্রেতা রাতারাতি হয়ে উঠছেন কোটিপতি, আর এবার ঠিক একইভাবে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল এক মাছ ব্যবসায়ীর। যে মাছ ব্যবসায়ী রাতারাতি নিজের ভাগ্য বদলে কোটিপতি হয়েছেন তিনি মালদার বাসিন্দা।
জানা যাচ্ছে, মালদার হরিশচন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী অশোক মহালদার বছরের পর বছর ধরে মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে মাছ বিক্রি করে আর কত টাকা লাভ হয়! যে কারণে সংসারে অভাব অনটন লেগেই রয়েছে। এর পাশাপাশি আবার তার শারীরিক অসুস্থতা তাদের সংসার চালানোর ক্ষেত্রে আরও প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সকল প্রতিবন্ধকতা এক নিমেষে দূর হয়ে যায় শুক্রবার রাতে।
হাটে বাজারে বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রি করে সংসার চালানো অশোক মহালদারের পরিবার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। তবে তার যে রোজগার এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য খরচ করার পর সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাকে। এরই মধ্যে শুক্রবার চাঁচলের একটি ক্লিনিকে তিনি আসেন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পথে তার ইচ্ছে হয় লটারির টিকিট কাটার। আর সেই ইচ্ছে থেকে ৩০ টাকার লটারি টিকিট কেটেছিলেন। পরে যখন বাড়ি ফিরে টিকিট মিলিয়ে দেখেন তখন দেখা যায় তাতেই লেগেছে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা।
ডিয়ার লটারির মর্নিং টিকিটে এইভাবে এক কোটি টাকা পুরস্কার লাগার বিষয়টি তিনি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য ঐদিন রাতেই পৌঁছান হরিশচন্দ্রপুর থানায়। অন্যদিকে এই টাকা পাওয়ার পর তার আগামী দিনগুলি রাজার হালে কাটবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। যদিও অশোক বাবু জানিয়েছেন, তিনি নিজের পেশা কোনভাবেই ভুলে যাবেন না। তিনি আগের মতই মাছ বিক্রি করবেন। এই টাকা দিয়ে তিনি মনের মত একটি বাড়ি বানানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা করাবেন।