নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘বউ পালাল জানলা দিয়ে’। টুম্পা সোনা গানের বাস্তবায়ন বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এই বাস্তবায়ন প্রথম রাজ্যে ঝড় তুলে দিয়েছিল হাওড়ার বালির একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। যারা দুজন বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির হাত ধরে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। তবে এরপরেও এই ধরনের ঘটনার খামতি নেই। সম্প্রতি সেইরকমই একটি ঘটনা ঘটলো পূর্ব মেদিনীপুরে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এক গৃহবধূ গত চারদিন আগে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে পিকনিক করবেন ও কেক কাটবেন বলে কেক আনতে বেরিয়েছিলেন। এরপর আর ওই গৃহবধূ বাড়ি ফেরেন নি। এই ঘটনার পরে এই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ওই গৃহবধূ প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট দিলেন? আশঙ্কা এমন হলেও অপহরণের তত্ত্বকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
তমলুক থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ওই গৃহবধুর আসল বাড়ি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায়। ফেসবুকে পরিচয় হয় কোলাঘাটের মিহিটিগড়ির এক যুবকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হলে পাঁচ বছর আগে দুজনের বিয়ে হয়। তারপর বেশ সুখের সংসারেই তারা বসবাস করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ২৩ ডিসেম্বর এমন ঘটনা ঘটে যায়।
ঐদিন ওই গৃহবধূ দাসপুরে মামার বাড়িতে পিকনিক করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন এবং ফেরার পথে কেক আনবেন বলেছিলেন। সেইমত ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে যান এবং তার স্বামী নিজের কাজে চলে যান। কিন্তু এরপর আর ওই গৃহবধূ বাড়ি ফেরেন নি। এমনকি বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর ওই গৃহবধুর স্বামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অনুমান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে থাকতে পারেন ওই গৃহবধূ এবং সেই কারণেই এইভাবে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও তার স্বামী এই বিষয়টি মেনে নিতে চাইছেন না।