নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের আসলে বসতেই আচমকা তলপেটে ব্যথা শুরু হয় কনের। ব্যথা শুরু হতেই বিয়ের আসরে এই লুকিয়ে পড়েন কনে (Bride)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছাই যে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আর হাসপাতালে ভর্তি করার পর দিন অর্থাৎ বিয়ের আসরে বসার পর দিনই সন্তানের জন্ম দেন কনে। স্বাভাবিক এই এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে পুরো এলাকায়। ভেঙ্গে যায় বিয়ে।
বিয়ের আসরে এমন ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার এক যুবকের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে সেকেন্দ্রাবাদের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বিয়ের দিন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল এবং সবকিছু সময় মতো সেড়ে ফেলা হচ্ছিল। সেই সময়ই হঠাৎ কনের তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর তড়িঘড়ি কনেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখানে চিকিৎসা শুরু হলে পাত্রপক্ষ জানতে পারেন কনে অন্তঃসত্ত্বা। যা শুনে রীতিমত চমকে যান পাত্রপক্ষ। এদিকে পর দিনই ফুটফুটে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই কনে বলে জানা যায়।
এমন ঘটনার পর পাত্রপক্ষ হতচকিত হয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, ওই কনে যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই সন্তান কার? এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কনেপক্ষ সবকিছু জেনে শুনেও এইভাবে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাদের মেয়ের? এর পাশাপাশি আরও একাধিক প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই সকল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কনেপক্ষের তরফ থেকে শেষমেষ মুখ খোলা হয়।
কনেপক্ষের তরফ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, তারা আগে থেকেই সব কিছু জানতেন। তবে তা সত্ত্বেও মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টিকে লুকিয়ে রেখে তারা তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। এদিকে যখন দেখাশুনো চলছিল সেই সময় পাত্রীর পেট ফোলা দেখে প্রশ্ন করা হলে জানানো হয়েছিল দিন কয়েক আগে গলব্লাডার স্টোন অপারেশন করানোর জন্য এমনটা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলেও দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আর কোন আলোচনা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন পুলিশি অভিযোগ হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনার খবর তাদের কাছে রয়েছে। এদিকে কনেপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে পাত্র-পক্ষ।