হাসপাতালের ডাস্টবিনেই সদ্যজাত শিশু, উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

লাল্টু : আস্তাকুড়ে বা ঝোঁপঝাড়ে নয়, একেবারে হাসপাতালে মধ্যেই ডাস্টবিনে পাওয়া গেল সদ্যজাত এক শিশুকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে পৌঁছায় পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সদ্যজাত শিশুর কান্না শুনে প্রথমে হাসপাতালে কর্মী এবং অন্যান্য রোগীদের আত্মীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। হাসপাতাল চত্বরের ঝোঁপঝাড় থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গা খোঁজাখুঁজির করলেও প্রথমে হদিস মেলেনি শিশুটির। পরে কান্না আরো বাড়লে বোঝা যায় আওয়াজ আসছে হাসপাতালে লেবার রুম থেকে। কিন্তু কে কাঁদছে তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যায় সকলে। অবশেষে খুঁজতে খুঁজতে বাথরুমের কাছে পৌঁছালে সকলের চক্ষু চড়কগাছ।

দেখা যায় ওই বাথরুমে রাখা ডাস্টবিনের ভিতরে কেউ বা কারা ওই শিশুকে রেখে দিয়ে তার উপর বেশ কয়েকটি কাপড় চাপিয়ে চলে গেছে। উদ্ধার হওয়া শিশুটি পুত্র সন্তান। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানা, পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িকেও।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ চন্দন হোসেন জানান, “বাচ্চা কাঁদার আওয়াজ শুনে আমরা এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করলে যখন পাওয়া যাচ্ছিল না তখন আমরা ভাবলাম হয়তো বিড়াল কাঁদছে। কিন্তু পরক্ষণেই আমাদের ভ্রান্তি দূর হয়। তারপরেই খোঁজাখুঁজিতে তোড়জোড় পড়তেই এমন রহস্য উদঘাটন হয়।”

দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মানবেন্দ্র সাউতে জানান, “হাসপাতালে ডাস্টবিনের মধ্যেই আমরা একটি সদ্যজাত পুত্রসন্তান উদ্ধার করেছি। কে বা কারা রেখে দিয়ে গেছে তা বুঝতে পারছিনা। তবে উদ্ধার হওয়া ওই শিশুটি সুস্থ আছে।”

এ যাবত আমরা সদ্যজাত কন্যাসন্তানকে এদিক-ওদিক রেখে দিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনা দেখেছি। কিন্তু এহেন সদ্যজাত পুত্র সন্তান ফেলে যাওয়ার ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্যের।