নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরাতন যুগের সিন্দুক, গুপ্তধন ইত্যাদি খোঁজার জন্য কত ধরনেরই না গল্প শোনা যায়। ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের গল্প আমরা শুনে আসতে অভ্যস্ত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রূপোলি পর্দায় এই ধরনের নানান গল্প তুলে ধরা হয়। তবে বাস্তবে এই ধরনের সিন্দুক অথবা গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। যদিও এই কঠিন বিষয়টি এবার বাস্তবে রূপ পেল পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Medinipur)।
পুরাতন যুগের সিন্দুক অথবা গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার মতো ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। গল্প, কল্পনা এই সকল এবার বাস্তবায়িত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে থাকা একটি শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ চালানোর সময় হঠাৎ লোহার কিছু ধাক্কা লাগার মত ঘটনা ঘটে। এরপরেই আরও একটু ইট পাটকেল সরাতেই দেখা যায় আগেকার দিনের সিন্দুক।
জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি বিকাশ রায় নামে এক ব্যক্তির। শতাব্দী প্রাচীন জরাজীর্ণ ওই বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার কাজ চালানো হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ই দেখতে পাওয়া যায় প্রাচীন যুগের এই সিন্দুকটি। সিন্দুকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকার মানুষদের মধ্যে ওই সিন্দুকে কি রয়েছে তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে এই সিন্দুকের খবর পৌঁছায় থানায় এবং পুলিশ এসে সিন্দুকটি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে এমন ঘটনার পর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, ওই সিন্দুকটি বিকাশ রায়ের বা তাদের কারো নয়। সিন্দুকটি হলো রিক্তা রায় নামে এক মহিলার। আসলে ওই বাড়িটি ছিল রিক্তা রায় নামে ওই মহিলার। পরে ওই বাড়িটি রিক্তা রায়ের পরিবারের সদস্যরা বিক্রি করে দেন বিকাশ রায়কে। বাড়ি থেকে সিন্দুক পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই রিক্তা রায়ের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবি করেন।
সিন্দুক পাওয়ার পর সবার মধ্যেই রীতিমত কৌতূহল তৈরি হয় কি রয়েছে ওই সিন্দুকের ভিতর। তবে বিকাশ রায় অথবা রিক্তা রায়ের পরিবারের কেউই ওই সিন্দুক খোলার অনুমতি পাননি। পুলিশ এসে ওই সিন্দুক নিয়ে যায়। পরে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় শেষমেষ ওই সিন্দুক খোলা সম্ভব হয়। তবে পুরাতন যুগের এই সিন্দুক দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন অনেক গুপ্তধন পাওয়া যাবে। কিন্তু গুপ্তধন বা অন্য কিছুর পরিবর্তে মেলে কেবল কয়েকটি ছেঁড়া কাগজের টুকরো। বাকি পুরো সিন্দুকটিই ছিল ফাঁকা।