নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঘ দেখার জন্য বহু মানুষ রয়েছে যারা রাজ্যের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার পাশাপাশি সুন্দরবন সহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যান। এবার পর্যটকদের এমন চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি টাইগার সাফারি (Tiger Safari) তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ঘোষণা করেছেন। আর এর জন্য খরচ হবে ১০ কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে যে চিড়িয়াখানা রয়েছে তার নাম আগেই রেখেছিলেন জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক। এই পার্কে ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রেও বদল আসছে শুরু করেছে। আর এসবের মধ্যেই ঝাড়গ্রামে টাইগার সাফারি (Jhargram Tiger Safari) তৈরি করার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
টাইগার সাফারির জন্য ঝাড়গ্রামে টাইগার পার্ক তৈরি করার যে ঘোষণা করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার মানুষদের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য আরও আশা জাগছে। কেননা এর ফলে বাঘ দেখার নেশায় বহু মানুষের আগমন হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং পর্যটকদের আগমন যেকোনো এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। যদিও কবে থেকে এই পার্ক তৈরি করা হবে তা বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন ? Paschim Medinipur: করতে হবে না একগাদা টাকা খরচ, এবার মাত্র ২৪০ টাকায় মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স
উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফরির আদলে ঝাড়গ্রামে টাইগার সাফারি তৈরি করা হবে ৬৪ একর জায়গায়। ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের পাশে যে ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্ক রয়েছে সেই এলাকাতেই এমন টাইগার সাফারি তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেননা এই এলাকার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে একেবারেই কাছে। আর এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ করা হবে সরকারের তরফ থেকে।
এখন প্রশ্ন হল, ঝাড়গ্রাম কি বাঘেদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ? জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কিছু চিতাবাঘ আনা হয়েছিল সেখানে। জঙ্গলমহলের শালবন এলাকায় সেই সকল চিতাবাঘদের বেশ ভালই বংশবিস্তার হয়। পরে অবশ্য বেশ কিছু পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘদের উত্তরবঙ্গে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বনদপ্তর মনে করছে ঝাড়গ্রাম বাঘেদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত।