নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবকুলের মানুষ এমন একটি প্রাণী, যাদের আশা আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। যিনি ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ঘুমান, তিনিও লাখপতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, আবার যিনি কোটিপতি রয়েছেন তিনি নিজের ধন-সম্পত্তি আরও অনেক বৃদ্ধি করার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে এই সকল স্বপ্ন সবার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয় না। মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এমন স্বপ্ন দেখা যেন পাপ।
তবে ইদানিং কালে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, একেবারে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বেশ কিছু মানুষেরা তাদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন লটারির টিকিটের (Lottery Ticket) দৌলতে। লটারির টিকিটে অনেকেই লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দিতে এখন লাখপতি অথবা কোটিপতি। ঠিক সেই রকমই কালঘাম ছোটানোর জীবন থেকে এবার মুক্তি পেলেন এক সবজি বিক্রেতা।
যে ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের দু’নম্বর ওয়ার্ডের বটকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি হলেন সবজি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দাস। বিশ্বনাথ বাবু কিভাবে এতদিন সংসার চালাচ্ছেন তা শুনলে আপনার মনেও কষ্ট হবে। বিশ্বনাথ বাবু প্রতিদিন সকালবেলায় তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে চলে গেছেন সবজির আড়ৎ। সেখান থেকে সবজি কিনে ফিরে আসতেন এবং বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে সেই সবজি বিক্রি করতেন।
আরও পড়ুন ? Tax on Lottery: লটারিতে ১ কোটি জিতলে কত টাকা পাওয়া যায়! কত কেটে নেয় সরকার
এইভাবে সবজি বিক্রি করে তার দিনে বড়জোড় ২০০ টাকা রোজগার হতো। আর সেই দু’শো টাকা দিয়েই তিনি তার সংসার চালান। তার সংসারে তিনি এবং তার স্ত্রীর পাশাপাশি রয়েছে দুই সন্তান। যে কারণে চারজনের খরচ যোগাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো তাকে। এমনকি সংসারের হাল ধরতে তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। এর পাশাপাশি আবার তার টিকিট কাটার নেশা ছিল। ১৬ বছর ধরে তিনি নাকি টিকিট কাটছেন।
লটারির টিকিট কাটার নেশা থাকার কারণে বাড়িতে মাঝে মাঝেই অশান্তি লেগে থাকতো। তবে এরই মধ্যে বুধবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার সময় ওই এলাকার পাওয়ার হাউজ মোড়ে রোহিত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর থেকে ৩০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন। আর সেই টিকিটেই তার ভাগ্য ঘুরে যায়। ওই টিকিট এই প্রথম পুরস্কার আসে এবং সেই পুরস্কার হল এক কোটি টাকার। এখন বিশ্বনাথ বাবু এই টাকা পেয়ে ভালোভাবে একটা বাড়ি তৈরি করার এবং ছেলেদের ভাল করে পড়াশুনা করানোর মনস্থির করেছেন।