নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন, সস্তায় ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের দৌলতে কত কিছুই না নতুন নতুন দেখা যায়। মূলত বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্যামেরা বন্দী হওয়ার পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার কারণেই সহজে তা নজরে আসে।
বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মধ্যে বেশকিছু ভিডিও আলাদা ভাবে নজর কাড়ে। আলাদা ভাবে নজর কাড়ার মূলে রয়েছে নতুনত্ব অথবা প্রতিভা। ঠিক সেই রকমই সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক যুবকের একটু আলাদা ধরনের প্রতিভা।
শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে এই নতুন ভিডিওটি আপলোড করেছেন। যে ভিডিওটিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে এক যুবকের অসাধারণ ব্যালেন্স করে সাইকেল চালানোর প্রতিভা। ওই যুবকের এইভাবে দুর্ধর্ষ ব্যালেন্স করে সাইকেল চালানোর প্রতিভার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আলাদা কৌতুহল।
সান মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে, এক যুবক সাইকেল নিয়ে রাস্তায় ছুটছেন। তার মাথায় রয়েছে একটি বড় বস্তা। সবথেকে বড় বিষয় হলো ওই যুবক সাইকেলের হ্যান্ডেল না ধরে মাথার বস্তা ধরে রয়েছেন দুই হাতে। আর এই ভাবেই সাইকেলের হ্যান্ডেল না ধরে দিব্যি পনপন করে ছুটে চলেছেন আঁকাবাঁকা রাস্তায়। তার এই ব্যালেন্স দেখে তারিফ না করে থাকতে পারেননি দর্শকরা।
This man is a human Segway, with a built in gyroscope in his body! Incredible sense of balance. What pains me, however, is that there are so many like him in our country who could be talented gymnasts/sportspersons but simply don’t get spotted or trained… pic.twitter.com/8p1mrQ6ubG
— anand mahindra (@anandmahindra) March 29, 2022
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ছোটবেলায় প্রথম যখন সাইকেল চালানো শিখি তখন এই ভাবে হ্যান্ডেল না ধরে সাইকেল চালানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু মাথায় এইভাবে বস্তা নিয়ে হ্যান্ডেল না ধরে সাইকেল চালানো সত্যি আশ্চর্য। আনন্দ মাহিন্দ্রা ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে লিখেছেন, “এই লোকটি একজন মানব সেগওয়ে, তাঁর শরীরে একটি জাইরোস্কোপ রয়েছে! ভারসাম্যের অবিশ্বাস্য অনুভূতি। তবে যা আমাকে কষ্ট দেয়, তা হল যে তাঁর মতো অনেকেই আছেন আমাদের দেশে, যাঁরা অনায়াসেই প্রতিভাবান জিমন্যাস্ট/খেলোয়াড় হতে পারেন। কিন্তু প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁদের দেখা যায় না…”