Mini Thar: দরকার নেই ১০৬ টাকা লিটারের পেট্রোল! আজব এক মিনি থার, ঘুরছে বীরভূমের রাস্তায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাহিন্দ্রার থার গাড়িটি বহু মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। বহু মানুষের ইচ্ছে এই গাড়ি কেনার অথবা এই গাড়িতে ভ্রমণ করার। কিন্তু সবার কাছে তো আর লাখ লাখ টাকা নেই! সবার পক্ষে তো আর এমন মহিন্দ্রা থার কেনার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে বীরভূমে এবার এমন একটি মিনি থার (Mini Thar) গাড়ির দেখা মিলল, যে গাড়ি হতে পারে আপনার বাজেটের মধ্যেই। এখন ওই মিনিট আর গাড়িটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বীরভূমের সিউড়ি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা।

যে মিনি থার গাড়িটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি কিন্তু কোন সংস্থার তৈরি নয়। এই গাড়িটি একেবারে নিজস্ব বুদ্ধিতে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুরের এক যুবক বানিয়েছেন। ওই যুবকের নাম শেখ জয়নাল। তিনি বর্তমানে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মেনটেনেন্সের চুক্তিভিত্তিক কাজে যুক্ত। হাসপাতালে কাজ করার পর যে অবসর সময় সেই অবসর সময় বাঁচিয়েই তিনি এমন মিনি থার গাড়িটি তৈরি করেছেন।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের একসময় একটি গ্রিল কারখানা ছিল। গ্রিল কারখানা থাকার পাশাপাশি তিনি একটি টোটো কিনেছিলেন। কিন্তু গ্রিল কারখানার ব্যবসায় তিনি লাভের মুখ দেখতে পাননি, আবার টোটো চালিয়েও সেই ভাবে প্যাসেঞ্জার পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে হাসপাতালে ওই কাজটি পান। আর তখনই তিনি নিজের গ্রিল কারখানার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে টোটোটিকে মিনি থার গাড়িতে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরপর ১০ মাসের প্রচেষ্টায় টোটো পরিণত হয় ইলেকট্রিক মিনি থারে।

আরও পড়ুন 👉 Petrol: গাড়িতে এত পেট্রোল ঢালছেন কিন্তু জানেন না এর আবিষ্কারকের নাম! না জানাটাই স্বাভাবিক

ইলেকট্রিক এই মিনি থার চালানোর জন্য কোন পেট্রোলের প্রয়োজন হবে না। এটি একবার চার্জে দিয়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে সক্ষম। অন্যদিকে এই গাড়িতে পেট্রোল বা অন্য কোন জ্বালানির প্রয়োজন না হলেও রয়েছে স্টিয়ারিং সহ মহিন্দ্রা থারের মত লোক। জয়নাল জানিয়েছেন, কারো সাহায্য ছাড়াই তিনি এই গাড়ি বানিয়েছেন এবং এই গাড়ি তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ওই টাকার মধ্যেই টোটোর দাম রয়েছে।

এই গাড়িটি তিনি নিজে এদিক ওদিক নিয়ে ঘোরার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়িতে ভাড়া দিচ্ছেন। তা থেকে তার বাড়তি রোজগার হচ্ছে। প্রথম দিকে এই গাড়িটির রং ছিল কালো। কিন্তু কালো রংয়ের গাড়ি অনেকেই শুভ কাজে ব্যবহারের জন্য ভাড়া নিচ্ছিলেন না বলে পরবর্তীতে তিনি এই গাড়ির রং পরিবর্তন করে করেছেন মেরুন।