According to psychology women like these men of professions more: কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ এই তিনটি আসলে বিধাতার ইচ্ছেতে সম্পন্ন হয়। এই কথাটি মানলে অবশ্যই বলা যায় কার সঙ্গে কার ভাগ্য সংযুক্ত হবে তা আগে থেকে কেউই বলতে পারেনা। তবে বাস্তব সত্য এটাই যে বিবাহ সম্পর্ক মানে শুধু দুটি মানুষের মেলবন্ধন নয়, দুটি পরিবারের ও মেলবন্ধন। দুটি পরিবারের মধ্যে বহু আলাপ আলোচনা, বহু মিল এবং অমিলের পর একজন নারী ও একজন পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। কথায় বলে লাখ কথা না হলে বিয়ে হয় না। কিন্তু এই লাখ কথার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিয়ের সময় মেয়েরা (Psychology of Women) পাত্র হিসেবে ঠিক কোন পেশার ছেলে পছন্দ করেন।
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যখন পুরুষ এবং নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ভাবেন তখন শুধুমাত্র তারাই একটি নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেন তা নয়। একটি বৈবাহিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বহু মানুষের নানা আশা আকাঙ্ক্ষা। শাস্ত্র অনুসারে যদি এ কথাই সত্যি হয় যে বিবাহ হয় বিধাতার ইচ্ছেতে, তা সত্ত্বেও বিবাহযোগ্য নারী এবং পুরুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেমন জীবনসঙ্গী পছন্দ সেই বিষয়ে। আগেকার দিনে অভিভাবকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী পছন্দ করলেও বর্তমানে নারী পুরুষ উভয়েই স্বাধীন ভাবে নিজের জীবন সঙ্গীকে বেছে নিতে পছন্দ করেন।
বিশেষ করে বর্তমান যুগে নারীরা আগের থেকে অনেক বেশি স্বাধীনচেতা। তারা নিজেরা উপার্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পছন্দ করেন। তাই জীবনসঙ্গী হিসেবে তারা কেমন পুরুষকে চান সে প্রসঙ্গেও আধুনিক যুগের নারীরা নানা মতামত পোষণ করেন। স্বামী হিসেবে কেমন পুরুষ কে পছন্দ করেন সেই প্রশ্নের পরেই বিবাহযোগ্যা নারীর সামনে যে প্রশ্নটি উঠে আসে সেটি হল স্বামী হিসেবে কোন পেশার পুরুষকে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন মহিলারা। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই বিষয়ে নারীর মনস্তাত্ত্বিক সেই ভাবনাটি তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
আরও পড়ুন ? Ladies Prefer Scooty: শুধু কমফোর্ট নয়, এই সব কারণেও বাইক ছেড়ে স্কুটি পছন্দ করেন মেয়েরা
যে সব নারীরা কর্মজীবী হন না বা ছোটখাটো কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিয়ের পর মূলত চুটিয়ে সংসার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা চান (Psychology of Women) তাদের স্বামী কর্মক্ষেত্রে একটু কম ব্যস্ত হবেন এবং তাকে অনেক বেশি সময় দিতে পারবেন। তাকে অনেক বেশি সময় ধরে একাকীত্বে ভুগতে হবে না। আবার যে সব নারীরা ডাক্তার বা পুলিশ ইত্যাদি পেশার সঙ্গে যুক্ত তারা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকেন সবসময়। তারা চান তাদের স্বামী ও এই পেশা গুলির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এতে উভয়ই ব্যস্ত থাকার কারণে সময় দেওয়া সংক্রান্ত কোনো অশান্তি নিজেদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে না।
অনেক ক্ষেত্রে এমন দেখা যায় কর্মজীবী নারীরা কর্মস্থানেই নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পান (Psychology of Women)। সে ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই একই পেশার মানুষ হয়ে থাকেন। যেমন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত নারীরা একই পেশার মানুষ খোঁজেন, একজন বইপ্রেমী মানুষ নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে আরেক জন বইপ্রেমীকেই খোঁজেন, সিনেমাপ্রেমীরাও সম মানসিকতার মানুষকে খুঁজে নিতে চান নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে। এ ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া বেশি থাকে বলে মনে করেন তারা।