Pets: লাভ বার্ড থেকে টিয়া! কোন কোন পাখি বাড়িতে রাখলে টানতে হবে জেলের ঘানি

মাছ, কুকুর, বিড়াল অনেকেই বাড়িতে রাখতে পছন্দ করেন। পোষ্য রাখা এক একজন মানুষের শখ বলা যায়। এমন দিন গেছে যখন মানুষ বাড়িতে ময়ূর, বাঁদর, তক্ষকও পুষত। বেশিদিন নয় মাত্র ত্রিশ বছর আগেও আইন ব্যবস্থা এত কড়াকড়ি ছিল না। আমরা প্রায়ই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বাঘ কিংবা সিংহ পোষারও ছবি-ভিডিয়ো দেখতে পাই। কিন্তু বাংলার নিয়ম সম্পর্কে কি কেউ জানেন? এমন অনেক বাড়ি আছে যেখানে খরগোশ, টিয়া, ময়না, চন্দনা, কাকাতুয়া, কাঠবিড়ালি পোষা হয়। কিন্তু, আপনি কি জানেন পোষ্য (Pets) নিয়ে ভারতীয় বন দফতরের আইন বা বনপ্রাণ সুরক্ষা আইন কী বলছে?

ভারতীয় আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু পশু-পাখি-মাছের বাইরে আপনি কিছুই বাড়িতে পোষ্য (Pets) হিসাবে রাখতে পারেন না। যদি আপনি নিয়ম ভাঙেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জেল-জরিমানা দুইটি হতে পারে। বন দফতরের কর্তাদের কথা অনুযায়ী, Wild Life (Protection) Amendment Act, 2022 অনুযায়ী ডোমেস্টিক ডগ, ডোমেস্টিক ক্যাট পোষাতে কোনরকম বাধা নেই।

কিন্তু আপনি ওয়াইল্ড ডগ বাড়িতে কেনওভাবে রাখতে পারবেন না। লাভ বার্ডস যেমন বদ্রি-মুনিয়া স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে রাখা যায়। গিনিপিগ পুষতে কোনরকম বাধা নেই। কিন্তু আপনি খরগোশ (র‍্যাবিট), কাঠবিড়ালি, এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির পাখি পুষতে পারবেন না। কারণ, এরা ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তালিকাভুক্ত। সেই কারণে বাড়িতে পোষা বা রাখা যায় না।

এবার দেখে নেওয়া যাক পোষ্য (Pets) নিয়ে ভারতীয় আইনে কি কি বলা হয়েছে? ভারতীয় আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইন ভাঙ্গে তাহলে তাকে সাত বছর অবধি জেল হেফাজতে থাকতে হবে। এখানেই শেষ নয়, কারণ তার সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানাও হতে পারে। এই বিষয়গুলিতে কড়া নজর রাখার দায়িত্ব থাকে জেলায় জেলায় থাকা DFO -এর উপরে। সাথে রাজ্য বন দফতরের বিশেষ শাখাও এ ব্যাপারে খেয়াল রাখে।

পশ্চিমবঙ্গে এমন গ্রেফতারির ঘটনা কিন্তু অনেক রয়েছে। ২০১৮ সালে এই কলকাতাতেই খাঁচায় টিয়া, চন্দনা এমনকি কাঠবিড়ালিও রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। এছাড়াও এ রাজ্যে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। বেশিরভাগ সময়ে বিভিন্ন জেলার বহু জায়গায় নানান অভিযান চালিয়ে বন দফতরের অফিসাররা প্রচুর বেআইনি পশু-পাখি আটক করে। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, বন দফতর হানাও দেয় গৃহস্থ বাড়িতে।