Aeroplane restaurant is being built for the first time in this district in West Bengal: বাড়ির বাইরে বেরোলে দেখা যায় একাধিক রেস্টুরেন্টের ছড়াছড়ি। কোথাও রূফ টপ তো কোথাও ভাসমান, একাধিক আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্ট দেখতে পাওয়া যায় চারিদিকে। এত নিত্য নতুন রেস্টুরেন্টের মাঝে চালু হতে চলেছে আরো একটি আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্ট বিমান রেস্তোরাঁ (Aeroplane Restaurant)। তাও আবার পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক এলাকা পুরুলিয়ায়। বিমানের মধ্যেই চেয়ার টেবিল পেতে খেতে পারবেন যেকোনো খাবার। চাইনিজ হোক বা কন্টিনেন্টাল অথবা বাঙ্গালী আনায় ভরপুর খাবার সবই পাওয়া যাবে এখানে। তবে শুধু খাবারের স্বাদ নয় মিটতে পারে বিমান চড়ার সাধও। রেস্তোরার মধ্যে থাকবে পাইলট থেকে এয়ার হোস্টেস সবাই। থ্রিডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বিমান চলাচলের অনুভূতিও পাবেন গ্রাহকরা এমন চিন্তা ধারায় তৈরি করা কোন রেস্টুরেন্ট এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, আশপাশের কোন প্রতিবেশী রাজ্যতেও নেই।
একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এই বিমান রেস্তোরাঁ (Aeroplane Restaurant) চালু করতে চলেছে। রেস্তোরাঁটি তৈরি করা হয়েছে ধানবাদ-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। পুরুলিয়া মফস্বল থানার বেলকুড়ি টোল প্লাজার খুব কাছে অবস্থিত এলাকাটি, মূল পুরুলিয়া থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই রেস্তোরাটির কথা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে গেছে রেস্টুরেন্টটিকে নিয়ে। ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রান্তিক পুরুলিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে এই রেস্টুরেন্টের হাত ধরে। পর্যটন শিল্পের উপর ভিত্তি করে বদল হতে চলেছে বনমহলের সামাজিক পরিস্থিতির। নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৪ এর দুর্গা পূজোর আগেই চালু করা হবে বিমান রেস্তোরাঁ (Aeroplane Restaurant)।
রেস্টুরেন্টটি কিন্তু শুধুমাত্র বিমানের আদলে তৈরি একটি কংক্রিটের রেস্তোরাঁ নয়। রীতিমতো একটি সত্যিকারের এয়ারবাসকে বিমানের রূপ দিয়ে রেস্তোরাঁয় পরিণত করা হতে চলেছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ২০ বছরের পুরনো পরিত্যক্ত এয়ারবাস এ ৩১৯ কে পুরুলিয়ায় আনা হয়েছে রেস্তোরাঁ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। ভারতের লুধিয়ানা এলাকায় ২০১৭ সালে প্রথম বিমান রেস্তোরাঁ চালু করা হয়। পুরুলিয়ার রেস্তোরাঁটি চালু হলে, এটি ভারতের ২৮ তম বিমান রেস্তোরাঁ হিসেবে পরিচিতি পাবে। বিমান রেস্তোরাটিতে ৬০ জনের মত বসার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া গান বাজনারও কিছু ব্যবস্থা রাখার কথা ভাবছে সংস্থা। এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুলিয়া ট্যুরিজমের উন্নতি সাধন করতে চাইছে বেসরকারি পর্যটন সংস্থাটি।
২০২৪ সালের আপডেট অনুযায়ী, এই প্রবল দাবদাহের মধ্যেও ভারতের টুরিস্ট স্পট গুলির মধ্যে গুগল সার্চ এ দ্বিতীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নাম উঠে এসেছে পুরুলিয়ার। দার্জিলিং এর পর সব থেকে বেশি পুরুলিয়া ট্যুরিজম সম্পর্কে সার্চ করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পুরুলিয়ার পর্যটনশিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য প্রায় সব ধরনের প্রকল্প চালু করা হয়েছে পুরুলিয়াতে। তার মধ্যে নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হলো বিমান রেস্তোরাঁ।
দিল্লি থেকে পাটনা সড়ক পথে ইতিমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছ থেকে ককপিটটি আনা হয়েছে পুরুলিয়ায়। প্রায় তিন মাস সময় লেগেছে কাজটি করতে। নতুন বিমান রেস্তোরাঁয় (Aeroplane Restaurant) প্রবেশের জন্য আপাতত ন্যূনতম মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি খাবারের জন্য আলাদাভাবে পেমেন্ট করতে হবে গ্রাহকদের। বিমানের ভিতরে চলাচল করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে আলাদাভাবে ১০০০ টাকা দিয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে হবে গ্রাহকদের। ১৫-২০ মিনিট ধরে বিমান চালু থেকে অবতরণ অব্দি সমস্ত অভিজ্ঞতা দেওয়া হবে গ্রাহকদের। ভার্চুয়ালি বিমানটি ঝাড়খণ্ডের বোকারো, ধানবাদ, জামশেদপুর, রাঁচি, আসানসোল ইত্যাদি জায়গার উপর দিয়ে চলাচল করবে। বিমানের হালকা আওয়াজ, নড়াচড়া সবই অনুভব করতে পারবে গ্রাহকরা। বিমানটির ভিতর এয়ার হোস্টেস ও পাইলট সহ মোট ৩০ জন কর্মী থাকবেন গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য।