Registration of Childbirth: বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যুর নিয়মে বদল, এবার বাবা-মাকে আলাদাভাবে জানাতে এই বিষয়

After the childbirth parents should be informed separately at the time of registration: একটি শিশু জন্মগ্রহণ করার ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে তার জন্মের শংসাপত্র তৈরি করতে হয়। যে হাসপাতালে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সেই হাসপাতাল অথবা পৌরসভা অথবা কর্পোরেশন থেকে এই জন্মের শংসাপত্রটি তৈরি করাতে হয়। যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত অফিস থেকে এই শংসাপত্র বের করা হয়। জন্মের শংসাপত্র (Registration of Childbirth) তৈরি করার কিছু নিয়ম রয়েছে।

সদ্যোজাত শিশুর জন্মের শংসাপত্র (Registration of Childbirth) তৈরীর ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মের বেশ কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য নতুন কিছু নিয়মের সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, এতদিন পর্যন্ত একটি শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য তার পরিবার কোন ধর্মাবলম্বী তার উল্লেখ করলেই চলত। কিন্তু এখন থেকে শিশুটির বাবা ও মা কোন ধর্মে বিশ্বাসী তারও উল্লেখ করতে হবে আলাদাভাবে। খুব শীঘ্রই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে জানা গেছে।

খুব শীঘ্রই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার নতুন নিয়ম গুলি সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের কাছে এই নির্দেশনা পৌঁছালে তাকে বাস্তবে রূপায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সদ্যোজাত শিশুর জন্মের শংসাপত্র (Registration of Childbirth) তৈরির সময় ফ্রম নাম্বার ১ যেখানে শিশুর ধর্মের উল্লেখ করতে হয়, সেখানে এতদিন পর্যন্ত পরিবারের ধর্মের উপর নির্ভর করে তা করা হতো। কিন্তু এখন থেকে শিশুর ধর্মের পাশাপাশি তার বাবা ও মায়ের ব্যক্তিগত ধর্মের উল্লেখ করার জন্য আলাদা জায়গা থাকছে নতুন ফর্মে। এমনকি দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য।

আরও পড়ুন 👉 DigiLocker: মাধ্যমিক হোক বা উচ্চমাধ্যমিক, DigiLocker থেকে করা যাবে সার্টিফিকেট ডাউনলোড, রইল পদ্ধতি

কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশোধিত আইন পাশ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে। নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে জন্ম মৃত্যু সংক্রান্ত সমস্ত নথি থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এই নথির উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তির বার্থ সার্টিফিকেট, ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলিকে আপডেট করা হবে। এনপিআর আপডেট করার সময়ও এই নথি ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

২০২৩ সালের ১ লা অক্টোবরের পর থেকেই এই নতুন আইন কার্যকর করা শুরু হয়ে গেছে। এখন থেকে কোন সদ্যোজাত শিশুর জন্মের শংসাপত্র বা কোন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করতে হলে আগে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্ত নথি সরকারের খাতায় নথিভুক্ত করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট শংসাপত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতেই তৈরি হবে। সদ্যোজাত শিশুর ক্ষেত্রে ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট (Registration of Childbirth) স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে পরবর্তী জীবনের যাবতীয় কাজে প্রয়োগ করা সম্ভব।