ED, CBI অতীত! এবার আরও ফ্যাসাদে অনুব্রত সাইগাল, জাল ছড়াচ্ছে নতুন তদন্তকারী সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইডি, সিবিআই আগেই হয়েছে, এবার এসব অনুব্রত সাইগলের কাছে অতীত! গরু পাচার কাণ্ডে এই সকল তদন্ত থেকে এখনো এক ফোঁটা মুক্তি মেলেনি অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তার দেহরক্ষী সাইগাল হোসেনের (Saigal Hossain)। তবে এরই মধ্যে এবার নতুন ফ্যাসাদে পড়তে চলেছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। এবার অনুব্রত মণ্ডল আর সাইগাল হোসেন এনআইএয়ের আতস কাঁচে।

গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছিলেন ইডির হাতে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই এবং ইডি এই দুইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ক্ষেত্রে পাচার ও আর্থিক দুর্নীতি জড়িয়ে থাকলেও হঠাৎ কেন এনআইএ তাদের পিছনে উঠেপড়ে লেগে পড়লো। স্বাভাবিকভাবেই এমন কৌতুহল তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে অনুব্রত অনুরাগীদের মধ্যে। আসলে এর পিছনেও রয়েছে আরও একটি ঘটনা।

জানা যাচ্ছে, এবার বীরভূম থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সাইগাল হোসেনের। এই নাম জড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতেই সাইগাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিহার জেলে যাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এমনকি সূত্র মারফত এটাও জানা যাচ্ছে যে, সাইগাল হোসেন ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকেও।

জানা যাচ্ছে, বীরভূম থেকে প্রচুর পরিমাণে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটরের মত বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গত ৪ আগস্ট তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরী সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই অনুব্রত মণ্ডল এবং তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সাইগাল হোসেনের নাম উঠে এসেছে। বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকা থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর, ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং জিলেটিন স্টিকের মত বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্স। এই ঘটনায় বিস্ফোরকের বড়সড়ো কারবারের হদিস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তে নামে এনআইএ। তবে এবার এই তদন্তের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়ে যাবে অনুব্রত ও সাইগালের তা হয়তো কেউ ভেবে উঠতে পারছেন না।