Nashipur Railway Bridge: নশিপুর রেলওয়ে সেতু, নশিপুর শহরকে আশেপাশের অঞ্চলগুলির সাথে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। অবশেষে কয়েক মাস নির্মাণের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে৷ মুর্শিদাবাদের নশিপুর রেলব্রিজ দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে ব্যবধান আরো কমে গেল। বড়ো সুবিধা পাবেন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা।
নশিপুর রেলওয়ে সেতু (Nashipur Railway Bridge) নির্মাণ একটি বহুল প্রতীক্ষিত প্রকল্প ছিল, কারণ আগের সেতুটি জরাজীর্ণ ও অনিরাপদ হয়ে পড়েছিল। আধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ মানের উপকরণ দিয়ে নির্মিত নতুন সেতুটি আগামী কয়েক দশক ধরে পরিষেবা দিতে পারবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
নশিপুর রেলওয়ে সেতুর (Nashipur Railway Bridge) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ছিল একটি জমকালো অনুষ্ঠান, মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নশিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা-লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নশিপুর। যদি একবার ব্রিজের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে।
শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি দুটি পথ ধরে যাওয়া যায়। প্রথমত বর্ধমান-বোলপুর-রামপুরহাট হয়ে। এই রুটে দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস-সহ বেশিরভাগ ট্রেন চলে। দ্বিতীয় রুটটি হল নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ হয়ে। এই রুটে চলে তিস্তাতোর্সা এক্সপ্রেস।
প্রথম রুটে শিয়ালদহ থেকে নিউজলপাইগুড়ির দূরত্ব ৫৭৩ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় রুটেও দূরত্ব ৫৭৩ কিলোমিটার। যদি তৃতীয় রুট, অর্থাৎ কৃষ্ণনগর, বহরমপুর হয়ে নশিপুর ব্রিজ পেরিয়ে আজিমগঞ্জ জংশন হয়ে নিউজলপাইগুড়ি ট্রেন চলে তাহলে দূরত্বও বাড়বে ২০ কিলোমিটার। এই রুটে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ অনেক কম সময়ের মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর, বহরমপুরের বাসিন্দারা সরাসরি নিজেদের শহর থেকেই উত্তরবঙ্গের ট্রেনে উঠতে পারবেন। অন্য পথে নদী পেরিয়ে আজিমগঞ্জ থেকে ট্রেন ধরার কোনো দরকার পড়বে না।
সাথে আছে আর একটি সুখবর, উত্তর ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হবে। মালদা যেহেতু খুব কাছে এসে গেল তাই সহজেই সেখানে উত্তর ভারতের ট্রেন ধরা যাবে। তবে আপাতত আজিমগঞ্জ থেকে কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নশিপুর ব্রিজের উপর দিয়ে। দুরপাল্লার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা কবে হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি।