নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ যাতে কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে তার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বিভিন্ন নিয়ম জারি করে থাকে। শুধু নিয়ম জারি করা নয়, পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের প্রত্যেকটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি চালায়, যাতে করে কোথাও কোনো রকম নিয়ম লঙ্ঘন না হয়। কোথাও কোনরকম নিয়ম লঙ্ঘন হতে দেখলেই রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ব্যাংক হোক অথবা যেকোনো ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম লঙ্ঘন করলেই তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা থেকে শুরু করে আরো কঠিন কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কখনো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়, আবার কখনো কখনো ব্যাংকের লাইসেন্সই বাতিল (RBI Cancelled Bank License) করে দেওয়া হয়। যেমনটা আমরা মাস কয়েক আগে দেখেছিলাম পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের ক্ষেত্রে।
পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করার মাস কয়েক যেতে না যেতেই ফের একটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেটি হল দ্য সিটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড। ২০ জুন থেকে এই ব্যাংকের গ্রাহকদের আর টাকা তোলা থেকে শুরু করে জমা দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া সার্কুলার জারি করে এমন ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন ? RBI Banks Penalty: কারচুপির দিন শেষ! এবার জনপ্রিয় এই ব্যাঙ্ককে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করলো RBI
ওই কোঅপারেটিভ ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার ফলে টাকা তোলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রীতিমত গ্রাহকরা চিন্তায় পড়েছেন। ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী ওই ব্যাংকে যে সকল গ্রাহকদের টাকা জমা ছিল তারা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন। মুম্বাই ভিত্তিক এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সমবায় কমিশনার ও রেজিস্টারকে লিকুইডটর নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কো-অপারেটিভ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ওই ব্যাংকের কাজ কর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে তা গ্রাহকদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের বীমার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে কারো যদি ১০ অথবা ২০-৩০ লক্ষ টাকাও থেকে থাকে তিনিও ৫ লক্ষ টাকার বেশি ফেরত পাবেন না।