নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ কয়েক দশকের প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসব। তবে রাম মন্দিরের শেষ নয়, কেননা কেন্দ্র এবার রাম সেতু (Ram Setu) তৈরির পরিকল্পনা করছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান রামচন্দ্রের নির্দেশে বানরসেনা একটি সেতু তৈরি করেছিলেন আর সেই সেতুর উপর দিয়েই রামচন্দ্র এবং তার সেনাবাহিনী পৌঁছে গিয়েছিলেন লঙ্কায়। যে স্থানে এই সেতু তৈরি করা হয়েছিল সেই স্থানটি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের ধনুশকোডি ধরা হয়। শুধু পৌরাণিক কাহিনী নয়, পাশাপাশি এমন একটি সেতুর ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নাসার ছবি থেকেও। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভাসমান পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।
সম্প্রতি রাম সেতু নিয়ে যে আপডেট পাওয়া গিয়েছে, সেই আপডেট অনুযায়ী সেই দিন আর হয়তো বেশি দেরি নেই, যেদিন রামচন্দ্র এবং তার সেনাবাহিনীর মতো ভারতীয়রা হেঁটে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে যাবেন। বিষয়টি অবাক লাগলেও ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ২৩ কিলোমিটারের দীর্ঘ সমুদ্র সেতু তৈরীর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সমুদ্রের উপর ২৩ কিলোমিটারের এমন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শ্রীলঙ্কা এবং ভারত দুই দেশেরই পর্যটন ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন একটি সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের তরফ থেকে সমীক্ষা চালানোর কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা হতে পারে। এই সমুদ্র সেতু তামিলনাড়ুর ধনুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
সাগরের উপর ২৩ কিলোমিটারের এই সমুদ্র সেতু তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তৈরি হবে রেলপথও। ইতিমধ্যেই ছয় মাস আগে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। যে চুক্তি ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এমন উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পরিবহনের খরচ ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।