‘২৯ তারিখের খেলা দেখে এখানকার মহিষাসুর চোখে সর্ষেফুল দেখবে’ সায়ন্তন বসু

হিমাদ্রি মন্ডল : দিন কয়েক আগেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর সেই জায়গায় শনিবার প্রতিবাদ মিছিল করতে আসেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সায়ন্তন বসু। সেখানে মিছিলের পর বক্তব্য রাখার সময় তিনি নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে মহিষাসুর বলে কটাক্ষ করেন এবং বলেন ‘২৯ তারিখের খেলা দেখে এখানকার মহিষাসুর চোখে সর্ষেফুল দেখবে’।

সায়ন্তন বসুর কথায়, “যারা এতদিন ‘খেলা হবে’, ‘খেলা হবে’, করছিল তাদের আজ অর্থাৎ প্রথম দফা ভোটের দিন মাঠে দেখা যায়নি। তারা বলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রিগিং করেছে। ইভিএম খারাপ করে দিয়েছে। বলছি এত ভোট কি করে পড়ে গেল? এখনো তো কিছুই খেলার শুরু হয়নি।” এর পরেই তিনি বলেন, ‘২৯ তারিখের খেলা দেখে এখানকার মহিষাসুর চোখে সর্ষেফুল দেখবে’।

এখানেই শেষ নয় এরপর তিনি বলেন, “চোখে সর্ষেফুল দেখে সন্ধের সময় সুড়সুড় করে ঝাড়খন্ড পালিয়ে যাবে। ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে গিয়ে থাকবে, ওখানে মোষের দুধ খাবে। সেখানে গিয়ে পার্টির কথা ভাববে আর বাংলায় আসার চেষ্টা করবে না। এই গ্যারান্টি আজ আমি আপনাদের দিতে চাই।” ২৯ তারিখ হঠাৎ ২৯ শে এপ্রিল রাজ্যে রয়েছে অষ্টম দফার ভোট, সেদিন ভোট হবে বীরভূমেও। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নাম না করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

এর পাশাপাশি এদিন সায়ন্তন বসু নানুরের তৃণমূল নেতা শেখ আলমের ‘পাকিস্তান তৈরির’ মন্তব্যকে তুলে ধরে বলেন, “আমার বীরভূমের মানুষদের দেখে করুণা হচ্ছে। এখানে তৃণমূলের এক তৃণমূল নেতা ৩০% দিয়ে ভারতের মধ্যে পাকিস্তান তৈরি করার কথা বলছে আর আপনারা এখনও তার জিভ আস্ত রেখেছেন। আমি আমার কর্মীদের বলছি যদি আবার এসব কথা বলে তার জিভটা ছিঁড়ে গাছের ডালে বেঁধে দিন।”

অন্যদিকে বারংবার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা প্রসঙ্গে তাকে বলতে শোনা যায় পাল্টা জবাব দিতে। তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মীদের উপর হামলাকারীদের এমন মারুন যাতে তারা আর জীবনে কোনদিন হামলা করার কথা না ভাবে এবং যদি ভোটের সময় যদি বুথে রিগিং করতে আসে তাহলে এমন মার মারবেন যাতে আসবে পায়ে হেঁটে বাড়ি যাবে হামাগুড়ি দিয়ে।”

তবে এর আগে তাকে বারংবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে, সেই জায়গায় তিনি এদিন নরম সুরে বলেন, “পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে পুলিশের সামনে ধর্না করুন কিন্তু পুলিশকে মারবেন না।” কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “দুই তারিখের পর এই সকল পুলিশদের নিয়েই আমাদের চলতে হবে।”

[aaroporuntag]
তবে এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সায়ন্তন বসু প্রতিটি মন্তব্যেই ছিল আক্রমণাত্মক মনোভাব। এমনকি শেষ হয়ে যাওয়ার আগে যখন প্রশ্ন ওঠে ভর্তিতে বাধা দিলে কি করবেন? এর জবাবে তিনি আক্রমণাত্মকভাবে জানান, “মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হবে।”