লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী অতীত, রাজ্য কাঁপাচ্ছে রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) এবং স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi)। এই দুই প্রকল্পের নাম তোলার জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে ভিড় জমাতে দেখা যায়। তবে এখন এই সকল প্রকল্পকে ছাপিয়ে গেল রাজ্যের আরও একটি প্রকল্প।

লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে বর্তমানে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে নতুন প্রকল্প বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা (Binamulya samajik suraksha yojana)। গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন ক্যাম্পে খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই প্রকল্পের নাম তোলার জন্য ব্যাপক ভিড় জমছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। এই প্রকল্পে কি সুবিধা পাবেন রাজ্যের বাসিন্দারা?

রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সব জায়গাতেই এই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য যথেষ্ট ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে অসংগঠিত শ্রমিকদের। ষষ্ঠ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা সুপার-ডুপার হিট। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ১১ লক্ষ ১৭ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সকল শ্রমিকরা রয়েছেন তাদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্যের শ্রম দপ্তরের তরফ থেকে। ২০২১ সাল থেকে রাজ্য শ্রম দপ্তরের তরফ থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়। তবে সে সময় সামান্য অর্থ প্রদান করতে হতো অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোন অর্থ লাগবেনা বলে ঘোষণা করেছেন।

এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলিকে একত্রিত করে সুবিধাভোগীদের সুবিধা প্রদান করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীরা প্রতিবছর হাসপাতালে ভর্তি অথবা বহিরাগত চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা পাবেন। কর্মস্থানে কাজ হারানোর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ দিনের জন্য ১০০০ টাকা এবং পরে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে এই টাকার পরিমাণ দশ হাজার টাকার বেশি হবে না।

এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারের সদস্যরা বছরে একবার প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। সহায়তার জন্য প্রতিবছর দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অসুস্থতার কারণে অস্ত্রোপচারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর অথবা মৃত্যু হলে সুদ সহ পরিবারের সদস্যরা টাকা পাবেন।