এই কাজটি না করলেই খেল খতম! বন্ধ হয়ে যেতে পারে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি!

নিজস্ব প্রতিবেদন : রান্নার গ্যাসের (Cooking Gas) দাম বৃদ্ধি নিয়ে বরাবর দেশের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এই ব্যাপক ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার মাস দুয়েক আগে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের উপর মোটা অংকের টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সাধারণ ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (LPG) ওপর ২০০ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় থাকা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের উপর ৩০০ টাকা ভর্তুকি দিতে শুরু করা হয়।

কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ কানেকশন রয়েছে এমন গ্রাহকদের ১৪.২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডারে এখন বেশ কিছুটা খরচ কম করতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় থাকা গ্রাহকদের খরচ আরও অনেক কমেছে। তবে সম্প্রতি যে ঘটনা সামনে এসেছে তাতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই সমস্ত ভর্তুকি। এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই পদক্ষেপ মূলত প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনার জন্যই।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে তেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গ্রাহকদের আধার যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই সকল গ্রাহকদের জন্যই যারা ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে থাকেন। সে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় থাকা গ্রাহক হোক অথবা ভর্তুকি পান এমন গ্রাহক। এই নির্দেশের পরেই মনে করা হচ্ছে, এই কাজটি না করলে আর ভর্তুকি মিলবে না। কেননা নির্দেশ কেবলমাত্র ভর্তুকির আওতায় থাকা গ্রাহকদের জন্যই দেওয়া হয়েছে।

ভর্তুকিযুক্ত গ্রাহকদের আধার যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশ গ্রাহকদের কাছে সরাসরি এসে না পৌঁছালেও অথবা প্রচার করা না হলেও ডিস্ট্রিবিউটরদের ইতিমধ্যেই এই কাজ করতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কাজটি সেরে ফেলতে হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

গ্রাহকদের আধার যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ৩১ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এমন কাজটি কিভাবে করা হবে। কেননা হাতে সময় খুব কম। যারা যাচ্ছে গত ১৮ অক্টোবর এই বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মূলত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে করে আসল গ্রাহকদের চিহ্নিত করা যায় এবং নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে কোন পরিবারের একাধিক ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস কানেকশন রয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করা যায়।