বাচ্চাকে ডিটারজেন্ট মেশানো দুধ দিচ্ছেন না তো, জানুন খাঁটি চেনার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্লাস্টিকের চাল থেকে শুরু করে ভাগাড়ের মাংসের ব্যাপারটাই উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সকলকেই আতঙ্কিত করে তুলেছিল। কারণ রোজকার খাবারে ভেজাল মিশলে তার থেকে ভয়ঙ্কর আর কিছুই হতে পারেনা। তাই ভেজালটা যখন খাবার সম্পর্কিত হয় তখন সকলের মনের মধ্যেই ভয় দানা বাঁধতে শুরু করে।

সম্প্রতি আবার জানা যাচ্ছে দুধেও ভেজাল মেশাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায় লাভের জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই অসৎ উপায় অবলম্বন করছেন। তাই দুধে ভেজাল ধরার কতগুলি পদ্ধতির কথা বলছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলির বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল।

১) নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা দুধের মধ্যে সাবান, সোডা, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি মিশিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনার কেনা দুধের প্যাকেটটি আসল না ভেজাল বোঝার জন্য দুধ যখন কিনবেন তখনই সেই কাঁচা দুধটি ভালো করে শুঁকে নিন। কেনা দুধে যদি সাবান বা সোডার গন্ধ পান তাহলে বুঝবেন দুধটিতে ভেজাল মেশানো হয়েছে।

২) দুধ আনার পরে সেটাকে গ্যাসে বসিয়ে ফোটান। খাঁটি দুধ কাঁচা অবস্থাতেও যেমন থাকবে ফোটানোর পরেও তেমনই থাকবে। কিন্তু দুধ যদি ভেজাল হয় তাহলে ফোটানোর পরে সেটা হলুদ হতে শুরু করবে।

৩) দুধ ফোটানো অবস্থাতেই জিভে ঠেকান, যদি দুধে সামান্য মিষ্টি স্বাদ পান তাহলে বুঝবেন দুধটিতে কোন ভেজাল নেই। দুধটি পান করার জন্য একদম নিরাপদ।

৪) অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে দুধের মধ্যে ওয়াশিং পাউডারও মিশিয়ে থাকেন। এটা ধরতে হলে দুধটা কোন কাঁচের পাত্রে নিয়ে একটু বেশি করে ঝাঁকিয়ে নিন, যদি দেখেন দুধের ফেনা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে তাহলে বুঝবেন দুধে নিশ্চয়ই ওয়াশিং পাউডার জাতীয় ভেজাল কিছু মেশানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাবধান হোন এবং পরবর্তীকালে সেখান থেকে দুধ নেওয়া বন্ধ করুন।

সুতরাং বাচ্চাদের ডিটারজেন্ট মেশানো দুধ খাওয়ানোর হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ এই পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে যাচাই করে দেখে নিতে পারেন যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।