নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দেওয়ার পর রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে। তাকে গ্রেফতার করে গুজরাত সন্ত্রাসবাদ দমন শাখা। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর যেমন বিভিন্ন মানুষ সরব হয়েছেন, ঠিক তেমনি আবার তার সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
গ্রেপ্তার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের সম্পত্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা তার একটি বাংলো নিয়ে। যে বাংলোটি অবস্থিত মুম্বাইয়ের সবচেয়ে দামি এলাকা জুহু বিচে। অনেকেই দাবি করছেন এই বাংলোটির বর্তমান বাজার মূল্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি। আবার কেউ কেউ দাবি করছেন, অমিতাভ বচ্চনের বাংলোর থেকেও দামি এই বাংলো।
এত দামি বাংলো নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, কিভাবে মুম্বইয়ের এই অভিজাত জায়গায় এত বহু মূল্যবান বাংলোতে বসবাস করেন এই সমাজকর্মী। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপার্জন থেকেই তিনি নাকি এমন দামি বাংলো কিনেছেন। যদিও এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া সমাজকর্মী তিস্তার স্বামী জাবেদ আনন্দ অন্য দাবি করেছেন।
জাবেদ আনন্দ জানিয়েছেন, “নিরন্ত নামের ওই বাংলোটি তিস্তা নিজে তৈরি করেননি। সেটি তিনি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। আসলে তিস্তার দাদু মতিলাল চিমনলাল শেতলবাদ ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনিই ওই এলাকায় বাংলোটি নির্মাণ করান। এখন সেখানেই থাকেন তিস্তা।”
শীর্ষ আদালতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে গুজরাট দাঙ্গার মামলা পুনরায় তদন্ত করার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “আমি মন দিয়ে রায়ের কপি পড়েছি। সেখানে পরিষ্কার তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উনি যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি চালাতেন সেটি পুলিশকে ভুয়ো তথ্য সরবরাহ করেছিল।” এর পরেই আটক করা হয় তিস্তাকে। পাশাপাশি তার এই বাংলো নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।