গাড়ি বা মোটরবাইক চুরি হলে কি কি করণীয়, রইলো ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চারচাকা হোক বা মোটরবাইক চুরি হয়ে যাওয়ার পর FIR করতে হয় এটা অধিকাংশ মানুষেরই জানা রয়েছে। কিন্তু এর পরবর্তীতে কি কি স্টেপ গ্রহণ করতে হয় তা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আর এই ওয়াকিবহাল না হওয়ার কারণে অনেকেই মাঝপথে হাল ছেড়ে বসেন। এমত অবস্থায় গাড়ি চুরি হলে কয়েকটি জিনিস মাথায় লাগলে অনেক দূর এগোনো সম্ভব।

Advertisements

আর এই বিষয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন।

Advertisements

১) গাড়ি চুরি যাওয়ার পর গাড়ির মালিককে স্থানীয় থানায় একটি FIR করতে হবে এবং সেই FIR-এর রিসিভ কপি নিতে হবে যা পরবর্তীকালে ক্লেইম করার সময় প্রয়োজন হবে।

Advertisements

২) পরবর্তীকালে যে সংস্থার সাথে গাড়ির বিমা রয়েছে সেই সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং ইনসিওরেন্স ক্লেইম ফাইল করতে হবে। কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে তা বিমাকারী সংস্থাকে পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে।

৩) মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী গাড়ি চুরি যাওয়ার পর গাড়ির মালিককে যোগাযোগ করতে হবে RTO অফিসে। সেখানে RTO আধিকারিককে গাড়ি চুরির বিষয়টি জানাতে হবে।

৪) ইন্সুরেন্স ক্লেইম ফাইল করার পর বিমাকারী সংস্থার তরফ থেকে গাড়ির মালিকের কাছে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথি যেমন ইন্স্যুরেন্সের অরিজিনাল কাগজ, FIR কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, RC বুক, RTO ট্রান্সফারের কাগজ, RTO ফর্ম জমা করতে হবে।

৫) বিমাকারী সংস্থাকে গাড়ির আসল চাবি জমা দিতে হবে।

৬) এর পাশাপাশি পুলিশের থেকে নো ট্রেস রিপোর্ট দিতে হবে। অর্থাৎ পুলিশের তরফ থেকে যখন চুরি যাওয়া গাড়ি সম্পর্কে কোন ট্রেস করা সম্ভব হয় না সেই সময় পুলিশের তরফ থেকে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। FIR করার পর ৩০ দিন অথবা তার থেকেও বেশ কয়েকদিন পর নো ট্রেস সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। যা ক্লেইম পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

[aaroporuntag]
৭) এরপর IDV ইস্যু হওয়ার পর বিমা সংস্থাগুলি তরফ থেকে ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। আর এই ক্লেইম পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

Advertisements