Along with the Royal Bengal Tiger, they will also be seen on the Sundarbans Tour: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি প্রশস্ত বনভূমি অঞ্চল হল সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এই বনভূমি অঞ্চল তার রূপ সৌন্দর্যে অতুলনীয়। সুন্দরী ও একাধিক ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্যের সমাবেশে গঠিত এই সুন্দরবন অরণ্য প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষনীয় একটি স্থান। সারা বছরই এখানে থাকে উৎসুক পর্যটকদের ভিড়। ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এই সময় গুলিতে অনেক বেশি পরিমাণ পর্যটকরা পৌঁছে যান সুন্দরবনে (Sundarbans Tour)। এবার সুন্দরবন বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য থাকছে আরও সুখবর। কারণ সুন্দরবন এলেই মিলবে বড় চমক।
সুন্দরবনে একদিকে যেমন রয়েছে ঘন অরণ্য ঠিক তেমনি এই অঞ্চলে জালিকার মত বিস্তৃত রয়েছে বহু নদী। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে বহু জীবজন্তুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বাঘ, চিতল হরিণ, কুমির, বন্য শুকর, বাঁদর,বিষধর সাপ,বন বিড়াল ইত্যাদি নানা প্রাণীর বাসভূমি হল সুন্দরবনের জল-স্থল। সুন্দরবনের সব থেকে আকর্ষণীয় প্রাণী হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে (Sundarbans Tour) বেড়াতে আসা পর্যটকরা মুখিয়ে থাকেন একবার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পাওয়ার জন্য। তবে এবার সুন্দরবনে গেলে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখি। কারণ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবার সেখানে তৈরি করা হচ্ছে এনক্লোজার।
বন দপ্তরের সমীক্ষা অনুসারে জানা যাচ্ছে সুন্দরবনের ঘন অরণ্যে পাঁচ হাজারের বেশি পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই অরণ্যে মোট ১৪৫ প্রজাতির পাখি আছে বলে দাবি করছে বন দপ্তর। ঘন জঙ্গলের মাঝে পশু পাখির উপস্থিতি অনুভব করতেই পর্যটকরা ভিড় করেন সুন্দরবনে। তবে অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করেন সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেও সহজে বাঘের দর্শন মেলে না। এই কারণেই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালিতে বন বিভাগের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল সুন্দরবন ‘ওয়াইল্ড অ্যানিমেল পার্ক’। সেখানে রয়েছে একটি বাঘিনী ও দুটি বাঘ, কুমির ইত্যাদি রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Sundarbans New Rules: সুন্দরবন বেড়াতে গিয়ে এবার ভুলেও করবেন না এই কাজ, করলেই খেতে হবে বাজে কেস
এই পার্কটিকে সংযোজন করে এবার পাখিদের জন্য দুটি এনক্লোজার তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ টির বেশি প্রজাতির সুন্দরবনের পাখি। যেহেতু জলপথে সুন্দরবন পরিদর্শন করার (Sundarbans Tour) সময় পাখিদের দর্শন খুব একটা মেলে না, তাই পাখিদের নিয়ে তৈরি হওয়া এনক্লোজার দুটি দর্শকদের আকর্ষণের অন্যতম একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে আশা করছে বন দপ্তর। সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই ইনক্লোজার দুটি চালু করে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বোন বিভাগের মাতলা রেঞ্জের রেঞ্জার শেখ রফিক আলি জানান “এই পার্ককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এবার স্থানীয় পাখিও দেখতে পারবেন না পর্যটকরা। আরো পরিকল্পনা আছে আমাদের।”