Ananya Birla chose the music world as her profession instead of family business: ভারতের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন, আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ভারতীয় ধন কুবের কুমার মঙ্গলাম বিড়লা। এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আমেদাবাদ এবং ইনস্টিটিউট অফ দিল্লির চেয়ারম্যান ও বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সের চেয়ারপারসন। তাঁর মেয়ে অনন্যা বিড়লা (Ananya Birla) নিয়ম মেনে পারিবারিক ব্যবসার সাথে যুক্ত না হয়ে তিনি নিজের একটি আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন।
অনন্যা বিড়লা (Ananya Birla) পেশা হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন সংগীত জগতকে। বর্তমানে অনন্যা বিড়লা একজন বিখ্যাত গায়িকা ও গীতিকার। হিসাব-নিকাশ করার বদলে তিনি তার নিত্য সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন ড্রাম, গিটারের মতন ইন্সট্রুমেন্ট গুলোকে। তবে ব্যবসায়িক পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ব্যবসা তার রক্তের সাথে মিশে রয়েছে। তাই জন্যেই হয়তো তিনি গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের আয়ের সুযোগ করে দিতে নিজেই দুটো নতুন কোম্পানি চালু করেছেন।
অনন্যা বিড়লা (Ananya Birla) আমেরিকান স্কুল অফ বোম্বেতে নিজের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য পারি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্টে স্নাতক হবার পর দেশে ফিরে নিজের একটি “স্বতন্ত্র মাইক্রোফাইনান্স” গঠন করেন। তিনি নিজেই এই কোম্পানির মালিক ও সিইও। অনন্যা বিড়লা কিউরোকার্ড নামে একটি বিলাসবহুল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে সারা বিশ্বের কারিগরের হাতে বানানো বিক্রি হয়। এছাড়াও তিনি গ্রামীণ বিশেষত নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলাদের ব্যবসা করার জন্য সাহায্য করে থাকেন।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী অনন্যা বিড়লার (Ananya Birla) একার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। অনন্যা বিড়লার মাসিক আয় সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও দুটি মফস্বল কোম্পানির মালিক হিসেবে এবং গানের অনুষ্ঠান গুলি থেকে প্রাপ্ত সাম্মানিক মিলে তার আয় যথেষ্ট ভালো বলেই আশা করা যায়।
অনন্যা বিড়লা (Ananya Birla) একজন সফল গায়িকা তার “হোল্ড অন,” “লিভইন দা লাইফের” মতন একাধিক গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ জোর দেন। তার নিজের জীবনের উদ্যোগ ও বিষণ্ণতার সাথে লড়াইয়ের কথা সর্বসমক্ষে বলতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না। তিনি শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য, মানবিক ত্রাণ, জলবায়ু পরিবর্তন। ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুদান দেন অনন্যা বিড়লা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে। ভারতীয়দের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে ও সচেতন করতে বিশেষভাবে সক্রিয় তিনি।