নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুক্রবার নানুরের কীর্ণাহারে অনুব্রত মণ্ডলের জনসভায় ফের একবার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়া আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই প্রধানমন্ত্রীর আগমণ শুনেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আসবে। পকেট থেকে মিথ্যা কথা বের করবে আর বলবে।’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কোথায় আসছে? হলদিয়ায়। মিথ্যাবাদী তো। যা বলবে তা করবে না। আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষে যা বলেছে তা করেছে? ওর পকেটে মিথ্যা কথা থাকে। পকেট থেকে বার করবে আর মিথ্যা কথা বলবে। পকেট থেকে মিথ্যা কথা বার করবে আর একে একে ছুঁড়বে। বাংলার লোক এত বোকা নয়। সবাই জানে ওর পকেটে মিথ্যা কথা আছে।”
এরপরেই প্রসঙ্গ ওঠে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তারাপীঠে আসা নিয়ে। তিনি তারাপীঠে এসে বিজেপির রথযাত্রার সূচনা করবেন এমনটা শুনেই অনুব্রত মণ্ডলের খোঁচা, “সবাই নাচবে আমি দেখব। তারপর আমি খেলা আরম্ভ করবো ওরা দেখবে।”
অন্যদিকে এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মোটামুটি একটি আভাস দেন নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হতে পারেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, “বিধান আপনাদের বাড়ির ছেলে। ঘরের ছেলে। নানুরের ছেলে। যখন ডাকবেন, তখন পাবেন। পেটে দু’কলম আছে, বেইমানি করবে না। বড়লোকি চাল চালবে না। সাধারণ মানুষের মতন থাকবে।”
তবে প্রার্থী নিয়ে আগাম আভাস দেওয়ার পাশাপাশি বিগত বছরের প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিগততে আমরা ভুল করেছিলাম। তার সংশোধন করার টাইম দেবেন না? তার জন্য প্রাশ্চিত্য করে সংশোধন করছি। বিধান আপনার বাড়ির ছেলে। খুব ভালো ছেলে। কাজের ছেলে।”
প্রসঙ্গত, নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন গদাধর হাজরা। তবে তিনি বাম প্রার্থী শ্যামলী প্রধানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও পরে গদাধর হাজরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। আর এই আসন তৃণমূল একুশে ফিরে পেতে মরিয়া বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।