নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের একবার লক্ষ্য করা গেলেও স্বমহিমায়। এবার তার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বীরভূম জেলার বিজেপি নেতাদের নিয়ে জল্পনা তৈরি করলেন বৃহস্পতিবার।
গঙ্গাসাগর মেলা পর্যবেক্ষণ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য অনুযায়ী, কমিটিতে থাকার তার কোন লালসা নেই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতাকে ভয় পাওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তাকে নেংটি ইঁদুর বলে কটাক্ষ করলেন। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল জানান, “ওই নেংটি ইঁদুরের জন্য বলার কিছু নেই। অস্তিত্ব বিলীন। চুরি করে জিতেছে। আবার বড়-বড় বাত মারছে।
অন্যদিকে দিন কয়েক ধরেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের ধারাবাহিকতায় এসে পৌঁছেছে বীরভূমেও। বীরভূমেও দিনদিন একাধিক বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন জেলার প্রাক্তন সহ সভাপতি উত্তম রজক, বিজেপি বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি শেখ সামাদ, প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল এদিন বলেন, “দলটার কিছু আছে? দলটার কিছু থাকতে হবে তো। ইউপি ছাড়ছে, সব জায়গায় ছাড়ছে বীরভূম কেন? বীরভূমে তো যাকেই ডাকবো সেই বলছে আসবো।” এর পাশাপাশি তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রকার বলেই দেন, ‘শেখ সামাদকে দলে নিয়ে নিচ্ছি।’
এরপরেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “জেলায় তো একজনই রয়েছেন। দেখুন কি হয়।” যদিও তিনি এই একজন বলতে কাকে বোঝাচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যক্তিত্বরা ওই একজন বলতে বীরভূমের একমাত্র বিজেপি বিধায়ককেই মনে করছেন। অনুব্রত মণ্ডলের এদিনের এই মন্তব্যের পরই জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চরম জল্পনা।