নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘দিদি ও দিদি’, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এই সম্বোধন সাম্প্রতিককালে বঙ্গ রাজনীতিকে সরগরম করেছে। আর যখন বঙ্গ রাজনীতি সরগরম তখন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল চুপ থাকবেন না এটাই স্বাভাবিক। তিনি এর পাল্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নতুন নামকরণ ‘নরেন ও নরেন’ বের করলেন।
বাংলা ভোটের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় যতবার সভা করতে এসেছেন বেশিরভাগ সভা থেকেই তাকে ‘দিদি ও দিদি’ সম্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব এই সম্বোধনকে বিদ্বেষমূলক মনে করছেন এবং তা মনে করার সাথে সাথে সাংবাদিক বৈঠক করে এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। কিন্তু তাতে অবশ্য দমেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আর এই বিদ্বেষমূলক সম্বোধনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল প্রধানমন্ত্রীর নতুন নামকরণ করে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার আয়োজিত তৃণমূলের সভায় বললেন ‘নরেন ও নরেন’। অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলাকে বলছে, ‘দিদি, ও দিদি’। লজ্জা লাগা দরকার। নরেন্দ্র মোদির ভাষাজ্ঞান নেই। আচ্ছা বলুন তো আমরা যদি বলি ‘নরেন ও নরেন’ তাহলে কি মানুষ আমাদের ভালো বলবে? সে তো ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী তাকে তো এই ভাষায় কথা বলা যায় না। তাহলে তুমি কি করে প্রধানমন্ত্রী? তুমি যে বলছো ‘ও দিদি ও দিদি’।”
এর পাশাপাশি এই সভা মঞ্চ থেকেই অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্র সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন। তার কথায়, ‘সবই তো বেচে দিয়েছে। বাকি তো আর কিছু রাখেনি। দিন দিন যত তার দাড়ি বাড়ছে তত পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে।”
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি তিনি এদিন দাবি করেন, “তৃণমূল সরকারই পুনরায় রাজ্যের শাসন দখল করবে। তৃণমূল এবারের নির্বাচনে ২২০ থেকে ২৩০ টা আসন পাবে। তৃতীয় দফার ভোটে তৃণমূল ৩১টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই জয়লাভ করবে।”