উন্নয়ন হয়নি শুনেই বেজায় চটলেন অনুব্রত, মঞ্চেই কৃষিমন্ত্রীকে বললেন ‘অপদার্থ’

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘এলাকায় উন্নয়ন হয়নি, রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের ঠিকঠাক বন্দোবস্ত নেই। আর এই সকল কারণেই ভোটে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।’ কিন্তু কেন উন্নয়ন হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শুক্রবার প্রকাশ্য কর্মীসভায় রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় এবং রামপুরহাট এলাকার ব্লক সভাপতিকে ‘অপদার্থ’ বলে আখ্যা দিলেন। আর এই ঘটনার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল।

শুক্রবার রামপুরহাটের কিষাণ মান্ডিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একটি কর্মীসভা ছিল। যে কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর এই সভাতেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় অনুব্রত মন্ডলের সাথে আশিস বন্দোপাধ্যায়ের।

ঘটনার সূত্রপাত, আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ নম্বর বুথ সভাপতি মাধব মন্ডল ভোট কম পাওয়ার কারণ হিসাবে জানান, “এলাকায় রাস্তা হয়নি। বারবার পঞ্চায়েতে জানানো সত্ত্বেও সে রাস্তায় এখনো হচ্ছে না। এমনকি কিছুদিন আগেই ঢালাই রাস্তা তৈরি করার জন্য ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জানানো হয় পুজোর আগেই ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু এখন আবার বলছে ওই রাস্তা তৈরি হবে না।”

এর পরেই অনুব্রত মণ্ডল এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউলকে জিজ্ঞাসা করেন, কি রাস্তা হয়নি?

এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধান জানান, “ওই গ্রামে কয়েক বছর আগে বেশ কতকগুলি ঢালাই রাস্তা তৈরি করিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে।”

এরপরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “টাকা তো অনেক পেলে।”

উত্তরে ওই প্রধান জানান, “সংসদ পিছু ভাগ করে করে দেওয়া হয়েছে।”

আর এই কথা শুনেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ওর বুঝতে দাওনি কেন? ওই তো বলছে ওর বুথে দেওয়া হয়নি। মেইনটেনেন্সের টাকা পাচ্ছো, চারবার করে টাকা পাচ্ছো, দাওনি কেন? তুমি অঞ্চল প্রেসিডেন্ট আবার তুমিই প্রধান? তাহলে দলে লিড কিভাবে হবে?”

আর এরপরই তিনি বলে ওঠেন, “আর অপদার্থ আছে আনারুল (অঞ্চল সভাপতি) আর আশিস ব্যানার্জি (কৃষিমন্ত্রী)।”

আর এরপর এই মঞ্চে সকলের সামনে কৃষি মন্ত্রী এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি কৃষিমন্ত্রীকে বলেন, ‘তাহলে কথা বলছো কেন তুমি? ও নিজেই তো প্রধান আর অঞ্চল প্রেসিডেন্ট।”

এর পাশাপাশি এদিন ওই বুত সভাপতি প্রথম দিকে রাস্তা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সামনে অভিযোগ জানাতে গেলে অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি বলেন, “যা বলার লিখিত দিন। মাইকে কিছু বলে দাদাগিরি করবেন না। লিখিত যদি আপনার অভিযোগ আছে লিখিত দিন।”