‘ভেড়া ছিল, ছাগল এসছে’, বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের একহাত নিলেন অনুব্রত

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে নতুন বিজেপি রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন আর তা নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কিছু বলবেন না এমনটা হতে পারে না। বরাবরই তিনি তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করে আসেন। এবার সেই ভাবেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং নতুন রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে একহাত নিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘ভেড়া ছিল, ছাগল এসছে’।

Advertisements

ভবানীপুরে উপ নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ নলাটেশ্বরী মন্দির এবং শক্তিপীঠ তারাপীঠে পুজো দেন। নিজের কাজ কর্মের মত পুজোর ক্ষেত্রেও তার রয়েছে আলাদা হাবভাব। মহাযজ্ঞ করে তিনি এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। মহাযজ্ঞ করে এই পুজোর আয়োজন করার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল থেকেই রটেছিল ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির প্রার্থনা করতেই তিনি এই পুজো দিচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে অনুব্রত মণ্ডল ভবানীপুরের প্রসঙ্গই টানতে চাননি।

Advertisements

সাংবাদিকরা ভবানীপুরের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করলে অনুব্রত মণ্ডল সোজাসাপ্টা উত্তর দেন, “আজকে যজ্ঞ করলাম। এটাতো নলাটেশ্বরী। সতীপীঠের একটা পীঠ। এটা আমি প্রতি বছর করি। কঙ্কালীতলা করি, তারাপীঠে করি, নলাটেশ্বরীতে করলাম। এটা আমি করি। ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জির জন্য যজ্ঞ করার দরকার নাই। ওখানে মমতা ব্যানার্জি এক লক্ষ ভোটে জিতবে। যজ্ঞ করার প্রয়োজন নাই।”

Advertisements

এর পরেই মহাযজ্ঞ এবং পূজা-অর্চনা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “যা যজ্ঞ করেছি তা একমাত্র ঠাকুরই জানে আর আমরা জানি। যা বলার মাকে বলে দিয়েছি। মা রাজি হয়ে গেছে। সাকসেসফুল। ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জি এক লক্ষ ভোটে জিতবে। কঙ্কালীতলায় হোম করে বলেছিলাম ২২০ থেকে ২৩০। ২২০ হয়েছে।”

এরপরেই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ভেড়া ছিল ছাগল এসছে। আগেরটা ভেড়া আর এইটা ছাগল। মিথ্যা কথা একটু কম বলবে ভালোভাবে চলবে সেই কথা বলেছি। বাংলা ভেড়া ছাগল মুক্ত হয়ে গিয়েছে। এবার ভারতবর্ষ।”

Advertisements