জমি, বাড়ি, পেট্রোল পাম্প, কনস্টেবল সায়গাল হোসেনের সম্পত্তি হার মানাবে ধনকুবেরদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই নড়েচড়ে বসতেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেন সিবিআই হেফাজতে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেন সিবিআই হেফাজতে থাকার পাশাপাশি একইভাবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকেও। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, এই মামলায় সিবিআইয়ের র‍্যাডারে রয়েছেন আরও কয়েকজন এবং বিপুল সম্পত্তি।

এছাড়াও এই মামলায় উঠে আসা অভিযুক্ত পাচারকারীদের সঙ্গে সায়গাল হোসেনের ফোনে রীতিমতো যোগাযোগ ছিল বলেও জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে। এই ভাবে যোগ সূত্র খুঁজে পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর দিকে এগোচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এরই মধ্যে আবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সায়গাল হোসেনের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরেছেন।

সায়গাল হোসেনের সেই সম্পত্তির পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা দেশের তাবড় তাবড় ধন কুবেরদের সম্পত্তি বৃদ্ধির হারকে হার মানাতে পারে। সায়গাল হোসেন সাধারণ একজন পুলিশ কনস্টেবল এবং অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে সম্পত্তি বানিয়েছেন তা নিয়ে আবার কটাক্ষ করেছেন অনুপম হাজরা। অনুপম হাজরার বক্তব্য, ‘দেহ-রক্ষী’র যদি এত সম্পত্তি হয়, দেহ তো আদানি-আম্বানিকেও ছাড়িয়ে যাবে’।

সর্বভারতীয় ওই সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে সায়গাল হোসেনের সম্পত্তির যে খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পুলিশ কনস্টেবল সায়গাল হোসেনের রয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে ৩৬ টি বাড়ি, যার বাজার মূল্য অন্ততপক্ষে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। বীরভূমের বোলপুরে রয়েছে ৭টি জমি, বাজার মূল্য ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সিউড়িতে রয়েছে ৭টি জমি, বাজার দর ৭২ লক্ষ টাকা।

বীরভূমের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জমির পরিমাণ ৫টি এবং তার বাজার মূল্য ৮৫ লক্ষ টাকা। নিউটাউনে রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট। এয়ারপোর্ট এলাকায় রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের তিনটি ফ্ল্যাট। ইলামবাজারে রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। এর পাশাপাশি রয়েছে দুটি ট্রাক, যার মূল্য ৪২ লক্ষ টাকা। রয়েছে ৩৭ লক্ষ টাকার গয়না। এছাড়াও নগদ রয়েছে, সাড়ে চার লক্ষ টাকা। ৯টি বিমার ক্ষেত্রে বছরে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দেন তিনি।