‘কত সুন্দর ফাইন চাল, সাদা তেলে রান্না’, অনুব্রত

অমরনাথ দত্ত : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশিত না হলেও এখন থেকেই অনুব্রত গড়ে এসে ভোটের দাদামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার তিনি বোলপুরে ‘শাহী রোড শো’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে গেরুয়া শিবিরের শক্তি প্রদর্শন করেন। আর অমিত শাহের এই সফর ঘিরে নানান আলোচনার মধ্যে ছিল তার খাওয়া-দাওয়া। শান্তিনিকেতনের বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে রেশনের চালের ভাত দিয়েই মধ্যাহ্নভোজন করবেন এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বাসুদেব দাসের পরিবারের তরফ থেকে।

আর এই খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে একহাত নিতে দেখা গেল। তিনি তো কটাক্ষ করতে বলেই ফেললেন, ‘কত সুন্দর ফাইন চাল, সাদা তেলে রান্না। এসব তো ওদের বাড়ির লোকজন খায় না।’ যদিও পরবর্তীতে তিনি আবার বলেন, ‘যাক খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কিছু বলতে নেই। যার যেটা পছন্দ সেটাই খাবে। তবে এসব সব দিয়ে থুয়ে হয়।’

দিয়ে থুয়ে হয় মানে? অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, বিজেপি ওই বাউল বাড়িতে অমিত শাহকে খাওয়ানোর পিছনে ওই বাউল বাড়ির লোকজনের মধ্যে কিছু দেওয়া নেওয়া, বোঝাপড়ার বিষয় রয়েছে। এমনটা বলার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এটাও দাবি করেন, ‘কাল চাইলে ওই বাড়িতে আমি আমার প্রদেশ যে কোনো নেতাকে খাইয়ে দেবো। ফিরহাদ হাকিম, ববি হাকিম এসে খেতে চাইলে খাইয়ে দেবো।’

বাউল বাড়িতে খাওয়া দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, “কালকে যদি ববি হাকিম বলে ওর বাড়িতে খাবো খাইয়ে দেবো। কাল যদি ফিরহাদ হাকিম বলে ওর বাড়িতে খাইয়ে দেবো। যদি আমার প্রদেশ লিডাররা কেউ আসতে চাই, যে বাসুদেব দাসের বাড়িতে খাবো খাইয়ে দেবো।”

এর পরেই এই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও তো বলে কয়ে হয়। দিয়ে থুয়ে হয়। অসুবিধা কি আছে। তুমি চলো তোমাকে কাল খাইয়ে দেবো তৃণমূলে বড় লিডার বলে (এক সাংবাদিককে বলেন)। দিতে তো আগে থেকে হবেই। তা না হলে কি করে সম্ভব। ওই চালের ভাত তো ওরা খায় না। কত সুন্দর ফাইন চাল। সাদা তেলে রান্না। এটা তুমিও বোঝো আমিও বুঝছি।”