নিজস্ব প্রতিবেদন : জ্বর জ্বালা হোক অথবা অন্য কিছু, অধিকাংশ মানুষ সহজে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ওষুধের দোকানে দৌড়ান। অল্পতেই যদি সেরে যায় তাহলে ডাক্তার দেখানোর মতো ঝামেলা এবং টাকা খরচ থেকে রক্ষা পাওয়ার কারণে এমন পদক্ষেপ নেন।
সচরাচর জ্বর জ্বর ভাব, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করলেই অধিকাংশ মানুষকে কোনরকম প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধের দোকানে গিয়ে প্যারাসিটামল কিনতে দেখা যায়। তবে এবার কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী এই প্যারাসিটামল ছাড়াও ১৬ রকম ওষুধ কোন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যাবে ওষুধের দোকান থেকে।
অর্থাৎ কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে এবার থেকে সাধারণ মানুষ কোন রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধের দোকানে গিয়ে উল্লেখিত ১৬ রকমের ওষুধের কথা বললে দোকানদার তা দিতে বাধ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে যে সকল ওষুধের ক্ষেত্রে এমন ছাড় দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল প্য়ারাসিটামল ৫০০ গ্রাম, পেটের সমস্যার কিছু ওষুধ, ছত্রাক নাশক ক্রিম, পেটের সমস্যা দূর করার সাধারণ ওষুধ ইত্যাদি।
এই নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ কি প্রতিক্রিয়া দেন তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে কেন্দ্র। তবে এই নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে এই সকল ওষুধ কেনার জন্য আর সাধারণ মানুষকে প্রেসক্রিপশনের অপেক্ষা করতে হবে না। মনে করা হচ্ছে এইসকল ওষুধের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া না থাকার ফলে কেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে এতদিন যে নিয়ম ছিল তাতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ কেনা যেত না। সে ক্ষেত্রে অনেকেই নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। এসকল কথা মাথায় রেখেই নিয়মে এমন শিথিলতা আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিয়ম শিথিল করা হলেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থেকেই যাচ্ছে। যেমন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ৫ দিনের বেশি কোন ডোজ দেওয়া যাবে না। করছত প্রেসক্রিপশন ছাড়া একসঙ্গে একগাদা কোন ওষুধ কিনে রাখা যাবে না।