নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের নোট বন্দির পর ২০২৩ সালে ফের ২ হাজার টাকার নোট (2000 Notes) তুলে নেওয়ার ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। গত ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ঘোষণা করার পর প্রথম দফায় ২০০০ টাকার নোটের বদল অথবা জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।
তবে জমা পড়া নোটের সংখ্যার নিরিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ফের একবার এই সময়সীমা বৃদ্ধি করে। সময়সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছিল ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ সাত দিনের বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়নি। সুতরাং ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা দেওয়া অথবা পরিবর্তন করানোর মেয়াদ শেষ।
২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি কারো কাছে এই নোট থেকে যায় তাহলে তার কি হবে? সেই টাকা জলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তা নেই, কেননা এখনো বাতিল হওয়া ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সোজা পথে অর্থাৎ সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে হবে না, কিছুটা হলেও ঘুরপথে দেশের নাগরিকরা এখনো ২০০০ টাকার বাতিল নোট জমা করার সুযোগ পাবেন।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ইস্যু অফিসে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এমন ১৯ টি ইস্যু অফিস রয়েছে যেগুলিতে এখনো চাইলে গ্রাহকরা তাদের কাছে পড়ে থাকা ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে পারবেন। তবে এখন যদি কেউ ভাবেন সেই টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট করবেন তা হবে না।
এমনকি দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই এবং ইডি যে তল্লাশি চালাচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও যদি এই ধরনের কোন নোট তাদের হাতে আসে তাহলে সেগুলিও আরবিআই ইস্যু অফিসে জমা করতে হবে। মোটের উপর যদি কোন ব্যক্তি ভুলবশত এখনো ২০০০ টাকার নোট নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তাহলে তিনি আরও একবার সুযোগ পাচ্ছেন তা জমা দেওয়ার।