নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ সিংকে (Arijit Singh) নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। তার প্রতিটি মুহূর্ত সম্পর্কে জানতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। আর যখন এমন একজন তারকার জন্মদিন আসে তখন সেই সকল কৌতুহল কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তারকার রোজগার কত, তারকা গান গাওয়ার জন্য কত টাকা নেন ইত্যাদি নিয়ে কৌতুহল চরমে। তবে এসবের মধ্যেই আরও একটি বড় কৌতুহল হলো অরিজিতের এক ড্রিম প্রোজেক্ট (Arijit Singh Dream Project)। যে প্রোজেক্ট এখনো তার কাছে অধরা।
বিভিন্ন সূত্রে কোথাও জানা যায় অরিজিৎ সিং ৫৫ কোটি টাকার মালিক, কোথাও আবার জানা যায় তিনি ৫২ কোটি টাকার মালিক। আবার কোথাও কোথাও উল্লেখ রয়েছে প্লেব্যাকের জন্য অরিজিৎ সিং গান প্রতি ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন। তবে টাকার ক্ষেত্রে কিছুটা ফের ফের হলেও অরিজিৎ সিং যে কোটি কোটি টাকার মালিক তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এর পাশাপাশি অরিজিৎ সিং-এর জিয়াগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি থাকার পাশাপাশি মুম্বাইয়ে তার নামে রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট। যেগুলির বাজার মূল্য ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা বলেই জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি তার বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে বলেও জানা যায় সূত্র মারফৎ। তবে এত কিছু করেও কিন্তু অরিজিৎ সিং কখনোই ভিআইপিদের মত জীবনযাপন করেন না। তিনি একেবারেই সাদাসিধে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত, আর এই কারণেই তিনি দিন দিন মানুষের অনেক কাছে চলে এসেছেন।
আরও পড়ুন ? উথলে পড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! অরিজিৎ-এর রোজগার শুনলে লজ্জা পাবেন টলি-বলি হিরো-হিরোইনরা!
আবার অরিজিৎ সিং কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও কিন্তু তিনি একজন সহৃদয় যুবক। তার রয়েছে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর পাশাপাশি তিনি নিজে নিজের এলাকায় বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার খুলেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে সব সময় তিনি হাত লাগিয়ে থাকেন। তবে এসবের পরেও কিন্তু একটি ড্রিম প্রোজেক্ট অরিজিতের কাছে এখনো অধরা। সেই ড্রিম প্রোজেক্ট সম্পর্কে শুনলে আপনারও অরিজিতকে গর্বে বুক ভরে যাবে।
অরিজিৎ সিং-এর যে ড্রিম প্রোজেক্টের কথা বলা হচ্ছে সেটি হল একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা। করোনাকালে তিনি মাকে হারিয়েছিলেন, সেই যন্ত্রনা এখনো ভুলতে পারেননি। আর এই নিয়েই বছর দুয়েক আগে তিনি একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করার ভাবনা শুরু করেছেন। তিনি নিজের শহরেই মেডিকেল কলেজ গড়তে চান এবং সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন। এমন একটি ড্রিম প্রজেক্ট অরিজিতের কাছে এখনো অধরা হলেও তিনি যেভাবে কাজ করছেন তাতে তা খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।