আর মিলবে না বিনামূল্যে রেশন! রাজ্যের এই সকল গ্রাহকদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration) ব্যবস্থা দেশ তথা রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা। এই রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার সাধারণ নাগরিকদের ন্যূনতম চাহিদা খাদ্যের যোগান দেওয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই দেশে চালু থাকা রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য শ্রেণীর মানুষেরাও রেশন ব্যবস্থায় অনেক সস্তায় খাদ্য সামগ্রী পান।

আবার যখন দেশে করোনা অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের তরফ থেকেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া শুরু হয় রেশন কার্ড (Ration Card) রয়েছে এমন উপভোক্তাদের। করোনা অতিমারির সময় থেকে চালু হওয়া বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রথা এখনো চালু রেখেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য। তবে এবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আর বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাবেন না প্রায় দু’কোটি গ্রাহক।

রেশন ব্যবস্থা যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি একটি ব্যবস্থা তাই এই ব্যবস্থাই যাতে কোনরকম অস্বচ্ছতা না থাকে তার জন্য রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই নিয়ম মানতে হবে। এমন নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে এবার একের পর এক ভুয়ো রেশন কার্ডধারী ধরা পড়ছেন। আর এই সকল ভুয়ো রেশন কার্ডধারীদেরই ছেঁটে ফেলা হচ্ছে রেশন তালিকা থেকে।

যে সকল রেশন গ্রাহকদের এই ধরনের ভুয়ো রেশন কার্ড ধরা পড়েছে তাদের রেশন কার্ড বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আর বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থায় যে খাদ্য সামগ্রী পেতেন তা পাবেন না। এই সকল রেশন গ্রাহকদের প্রতি মাসে পাঁচ কিলো করে চাল দেওয়া হতো। গ্রাহক প্রতি সরকারের প্রতি মাসে খরচ হতো অন্ততপক্ষে ১৫০ টাকা। এমন ভুয়ো গ্রাহক সংখ্যা অর্থাৎ যাদের বাতিল করা হলো তাদের সংখ্যা ২ কোটি। এর ফলে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে।

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে রেশন গ্রাহক সংখ্যা হল ৮ কোটি ৮০ লক্ষ। আগে যেখানে ভুয়ো উপভোক্তা নিয়ে সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১১ কোটি। রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের ব্যাপক পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, ঠিক সেই রকমই আবার যারা এই পথ বেছে নিয়ে কারচুপি করতেন তাদেরও কারচুপির জায়গা বন্ধ হয়ে গেল। এবার থেকে আসল উপভোক্তরাই পাবেন রেশন সামগ্রী পাওয়ার সুযোগ।