Arun Ice cream: তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি মানুষই চায় ঠান্ডা খেতে। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছোট থেকে বড় সকলেই ঠান্ডা পানীয় কিংবা আইসক্রিম খেতে চায়। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সমস্ত জায়গাতেই একাধিক আইসক্রিমের ব্র্যান্ড রয়েছে। সবাইকে ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে ‘অরুণ আইসক্রিম’। এই ব্র্যান্ডটির জন্ম সম্পর্কে জানতে গেলে ইতিহাসের পাতা থেকে এক সুন্দর কাহিনী সামনে চলে আসবে। বিশাল এই আইসক্রিম কোম্পানির মালিক কোন এক সময় ঠেলাগাড়িতে করে বিক্রি করতেন আইসক্রিম।
সকলের প্রিয় এই অরুণ আইসক্রিম (Arun Ice cream) কিন্তু একেবারেই বাঙালি কোম্পানি নয়। এই কোম্পানির জন্ম হয়েছিল দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে। এই আইসক্রিমের ব্র্যান্ডটি তৈরির নেপথ্য রয়েছেন সেখানকার উদ্যোগপতি আর জি চন্দ্রমোগান। এনার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
চেন্নাইয়ের থিরুথাঙ্গালবাসী চন্দ্রমোগান গত শতাব্দীর সাতের দশকে এই আইসক্রিম (Arun Ice cream) ব্যবসার পত্তন করেন। চাকরি ছেড়ে মাত্র তিনজন কর্মচারীকে নিয়ে এই ব্যবসা প্রথম শুরু করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২৫০ বর্গ ফুটের এক চিলতে ঘরে অতি যত্নে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এই ডেজার্টধর্মী খাবার।
আইসক্রিমের ব্যবসাতে (Arun Ice cream) শুধুমাত্র আইসক্রিম তৈরি করতে পারাটাই বড় কথা নয়, তা জনগণের মাঝখানে পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের মনে জায়গা করে নেওয়াটাই বড় কথা। যদি কোনো ব্র্যান্ড গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে তাহলে তা জনপ্রিয়তা পাবে। ছোট-বড় সকলের কাছে নিজের তৈরি আইসক্রিম পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঠেলাগাড়িতে তা বিক্রি করা শুরু করেন চন্দ্রমোগান। এভাবেই সূচনা হয়েছিল আজকের এই বিশাল সাম্রাজ্যের।
আরো পড়ুন: RBI-এর কোপে দুই জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক, জরিমানা খেল ২.৯১ কোটি টাকা
দক্ষিণী এই উদ্যোগপতি এভাবে ১৯৭০ সালে নিজের ব্যবসাকে (Arun Ice cream) শুরু করেছিলেন। যখন তিনি ব্যবসায় নেমেছিলেন তার মূল পুঁজির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার টাকা। তবে এই কোম্পানির জনপ্রিয়তা লাভ করতে বেশি সময় লাগেনি। খুব অল্প দিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন তিনি এবং আইসক্রিমের ব্যবসাতে রীতিমত নজির গড়েছিলেন চন্দ্রমোগান। অচিরেই ঠেলাগাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫।
অবশ্য ১৯৮১ সালে এই চিত্রের পরিবর্তন ঘটে। সারা তামিলনাড়ুতে চন্দ্রমোগানের তৈরি আইসক্রিম রীতিমতো উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল। এই ব্র্যান্ড শুধুমাত্র নিজ রাজ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা নয় বাইরের বিভিন্ন রাজ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায় এই কোম্পানি। ফলে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘হাটসন অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট’। জানলে অবাক হবেন এটি বর্তমানে ভারতের অন্যতম বড় ডেয়ারি কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। চন্দ্রমোগানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে, এর থেকেই বোঝা যায় তার সাফল্যের কাহিনী। তাঁর সংস্থার রাজস্বের অঙ্ক ২০ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র ভারতে নয় ভারতের বাইরেও ৪২টি দেশে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে অরুণ আইসক্রিম।