‘ভোটার তালিকায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা, অমিত শাহ কি ঘুমাচ্ছিলেন!’, ওয়েইসির

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : হায়দ্রাবাদে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঘাঁটি গেড়েছে। আর এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার নাম নাকি উঠে গেছে ভোটার তালিকায়। এই সকল রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এবং হায়দ্রাবাদের ঘাঁটি গড়তে সাহায্য করেছেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসি এবং তার দলবল বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। গতকালই তিনি এই অভিযোগ করেন।

এর পাশাপাশি তেজস্বী সূর্য বলেন, “আপনারা যদি ওয়েইসিকে ভোট দেন তাহলে মিমের মতো দল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মত মুসলিম মহল্লায় শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এই ওয়েইসি হল জিন্নার নতুন অবতার। ওয়েইসিকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো ভারতের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া।”

তবে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে ওয়েইসির বিরুদ্ধে এদিনের অভিযোগ নতুন নয়, এর আগেও বিজেপি নেতা নেত্রীরা বারংবার তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশে সাহায্য করা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এদিনের তেজস্বী সূর্যর অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুলতেই দেখা গেল স্বয়ং আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে।

ভোটার লিস্টে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নাম উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিয়ে ওয়েইসি বলেন, “ভোটার লিস্টের ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গার নাম উঠে থাকলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি ঘুমাচ্ছিলেন! বিজেপি বারবার এই সকল ভিত্তিহীন অভিযোগ করে। এত এত রোহিঙ্গা ঢুকে পড়লে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খোঁজ রাখা তো উচিত ছিল, অনুপ্রবেশ আটকানো উচিত। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি ভোটার তালিকায় নাম আছে এমন এক হাজার রোহিঙ্গা নাম দেখাক তাহলেই বিজেপির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হবে।”

প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসেই হায়দ্রাবাদের পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে সেখানে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পৌর ভোটের আগে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য আসাদুদ্দিনকে আক্রমণ করে বলেন, “ওদের মুখে উন্নয়নের কথা সাজে না। পুরাতন হায়দ্রাবাদে ওরা সমস্ত রকম উন্নয়নের কাজে বাধা দেয়। ওরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয়দাতা।”