Bandhan Bank MD-CEO Change: বদলে যাচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রধান, সরে দাঁড়াচ্ছেন চন্দ্রশেখর ঘোষের

নিজস্ব প্রতিবেদন : জিরো থেকে হিরো হওয়া মানুষ অথবা সংস্থার উদাহরণ বিশ্বে যা রয়েছে সেই তালিকায় একেবারে অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছেন চন্দ্রশেখর ঘোষ (Chandra Shekhar Ghosh) এবং তার প্রতিষ্ঠান বন্ধন ব্যাঙ্ক (Bandhan Bank)। পরিচিত এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে ২ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে, সেই টাকা দিয়েই ধীরে ধীরে পথ চলা শুরু হয়েছিল বন্ধন ব্যাঙ্কের। যদিও তখন ব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিতি পাইনি তা।

চন্দ্রশেখর ঘোষের হাত ধরেই জন্ম হয়েছে বন্ধন ব্যাংকের। আর জন্ম লগ্ন থেকেই তিনি এই ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পরপর তিনবার অর্থাৎ টানা নয় বছরের জন্য এই সকল দায়িত্ব তিনি সামলেছেন। এমনকি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ফের তার পদের মেয়াদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এরপরেও তিনি এই সব পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তার সরে দাঁড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি পদ ছেড়ে দেওয়ার কারণে এবার অন্য কেউ এই পদে (Bandhan Bank MD-CEO Change) বসবেন এমনটাই জানা যাচ্ছে।

চন্দ্রশেখর ঘোষ নিজের পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নিচ্ছেন মূলত আরও বড় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। আরও বড় যে দায়িত্ব তিনি নিতে চলেছেন তা সম্পর্কেও স্পষ্ট ভাবে জানা গিয়েছে। শুক্রবার বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৯ জুলাই নিজের পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নেবেন চন্দ্রশেখর ঘোষ। এমডি এবং সিইও পদ থেকে সরে যাওয়ার ফলে চন্দ্রশেখর ঘোষের ১ দশকের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে।

আরও পড়ুন 👉 Jagannath Temple: শুধু পুরি নয়, বাংলাদেশের এই জায়গাতেও রয়েছে জগন্নাথ মন্দির! তবে এখন দেখলে চোখ দিয়ে জল আসবে

চন্দ্রশেখর ঘোষ ১ দশকের বেশি সময় ধরে এমডি এবং সিইও পদে ছিলেন। এবারে তিনি এই সকল পদ থেকে সরে গিয়ে বন্ধন গোষ্ঠীর নীতি ও কৌশল নির্ধারণকারীর ভূমিকায় কাজ করবেন। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার মনে হচ্ছে তার আরও বৃহত্তর দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এমডি এবং সিইও পদ থেকে সরে গিয়ে বন্ধন গোষ্ঠীর নীতি ও কৌশল নির্ধারণকারীর ভূমিকায় কাজ করবেন।

বন্ধন ব্যাঙ্ক বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একের পর এক মাইলস্টোন পার করেছে। এই মুহূর্তে তাদের কাছে রয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকার আমানত। এছাড়াও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এই ব্যাংক সারাদেশে ৩ কোটির বেশি গ্রাহক সংখ্যা তৈরি করেছে। শুধু তাই নয় জিরো থেকে হিরো হওয়া এই ব্যাংকের এখন ৭৫ হাজার কর্মী রয়েছেন। ভাবা যায়! যে সংস্থা একসময় লোকের কাছে ধার করে পথচলা শুরু করেছিল সেই সংস্থায়ই ৭৫ হাজার কর্মীর অন্ন সংস্থানের রসদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।